জামিনে মুক্তি পেয়েও ৪ মাসে ৩০টিরও বেশি চুরি-ছিনতাই ! পুলিশের জালে

রাণা দাস, কাটোয়া : জামিনে মুক্তি পেয়েও শেষ নেই দুষ্কর্মের ! মুক্তি পাওয়ার পর চার মাসের মধ্যে ৩০টিরও বেশি চুরি ও ছিনতাই করে ফের পুলিশের জালে। মুর্শিদাবাদের কুখ্যাত “হেরোইন গ্যাং” এর ছয় জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। চার জেলার পুলিশের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিল এই গ্যাং। হেরোইনের টাকা জোগাড় করতে বিভিন্ন জেলায় চুরি ও ছিনতাই করাই কাজ ছিল কুখ্যাত এই গ্যাংয়ের। সেই কারণেই এই দল “হেরোইন গ্যাং” নামে পরিচিত। কাটোয়া থানার পুলিশ দিঘা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করল।
পাঁচ মাস আগে কাটোয়ায় একটি চুরির ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার হেরোইন গ্যাংয়ের চারজনকে গ্রেফতার করে। তাদের জেল হেফাজত হয়। মাসখানেক পরেই চার দুষ্কৃতী জামিনে মুক্তি পায়। এরপরেই এই গ্যাং মুশিদাবাদ , বীরভূম, নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় ফের চুরি ও ছিনতাই করতে শুরু করে। পুলিশ সূত্রের দাবি, এই গ্যাংয়ে ২০ থেকে ২৫ জন দুষ্কৃতী রয়েছে, যারা সকলেই হেরোইনের নেশা করে। হেরোইনের টাকা জোগাড় করতেই তারা নম্বর প্লেটহীন মোটর বাইক নিয়ে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়াত। রাস্তায় ফাঁকা বাড়ি বা গাড়ি থামিয়ে ছিনতাই, লুট করা ছিল এদের কাজ। কয়েকদিন আগেই কাটোয়া থানার পুলিশ খবর পায়, সেই গ্যাংয়ের কয়েকজন দুষ্কৃতীকে ফের কাটোয়া শহরে দেখা যাচ্ছে। এরপর প্রথমে দু’জনকে গ্রেফতার করে কাটোয়া থানার পুলিশ। তাদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, তাদেরই একটি বড় টিম দিঘায় রয়েছে।
এরপর কাটোয়া থানার পুলিশ দিঘা এলাকা থেকে আরও চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
চলতি মাসে দিনকয়েক আগে সল্টলেকে চুরির ঘটনা ঘটে। এক চিকিৎসকের বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা ও গয়না চুরির অভিযোগ ওঠে। ঘরের সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্কও খুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। সল্টলেকে ফাঁকা বাড়িতে এ হেন চুরির ঘটনায় ফের সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে ওঠে একাধিক প্রশ্ন। চিকিৎসকের গোটা বাড়িই কার্যত লন্ডভন্ড করা হয়। হাট করে খোলা হয় আলমারি। ভাঙা হয় সিন্দুকও। এমনকী গায়েব করা হয় সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক। স্থানীয় সূত্রে খবর, সল্টলেকের এইচবি ব্লকের ওই বাড়িতে থাকতেন না চিকিৎসক ও তাঁর পরিবার। নিউটাউনের ফ্ল্যাটে থাকতেন তাঁরা। সেই সুযোগে রাতে জানালার গ্রিল ভেঙে ভিতরে ঢুকে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা।
আরও দেখুন