আমদাবাদ: গত মরশুমে অধিনায়ক হিসেবে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। কিন্তু এই মরশুমে সেই শ্রেয়স আইযারকেই আর ধরে রাখেনি কেকেআর। নিলামে তাঁর হয়ে বিডও তোলেনি নাইটরা। নিজেকে নিলামে তুলেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। আর সেখান থেকেই ২৬.৭৫ কোটি টাকা দিয়ে মুম্বইয়ের ব্যাটারকে দলে নিয়ে নেয় পাঞ্জাব কিংস। তাঁকে অধিনায়কও নির্বাচিত করা হয়। আর ক্যাপ্টেন্সির প্রথম ম্য়াচেই সাফল্য পেয়ে গেলেন শ্রেয়স। এমনকী নিজেও ব্য়াট হাতে ৯৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন। তাঁর ৪২ বলের ইনিংসটিই পাঞ্জাব কিংসের ২৪৩/৫ স্কোরবোর্ডে তুলে নেওয়ার নেপথ্যে ছিল।
ম্য়াচের পর কেকেআরের প্রাক্তন অধিনায়ক বলছেন, ”প্রথম ম্য়াচেই ৯৭ রানের ইনিংসটি আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিল। প্রথম যে বলটি খেলেছিলাম সেখানেই বাউন্ডারি এসেছিল। এরপর মোমেন্টাম পেয়ে গিয়েছিলাম। এছাড়া রাবাডাকে হাঁকানো ফ্লিকে ছক্কাটাও বেশ ভাল ছিল।” শ্রেয়স তাঁর শতরানটি মিস করে গিয়েছিলেন কারণ শেষ ৮ বলে তিনি স্ট্রাইকই পাননি। উল্টোদিকে ছিলেন শশাঙ্ক সিংহ। গত মরশুমে পাঞ্জাব জার্সিতে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় ইনিংস খেলেছিলেন। তাঁকে রিটেন করেছিল দল। এবারও শুরুটা দুর্দান্ত করলেন। লোয়ার অর্ডারে নেমে ১৬ বলে ৪৪ রানের ক্যামিও ইনিংস উপহার দিলেন শশাঙ্ক। শ্রেয়স বলছেন, ”শশাঙ্কের ইনিংসটি দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওঁর ইনিংসটি দলের বেঞ্চমার্ক তৈরি করে দিল। গোটা টুর্নামেন্টে এভাবেই এগিয়ে যেতে চাই আমরা।”
বড় রান তাড়া করতে নেমে গুজরাত শুরুটা খানিকটা দেখেশুনে করে। তবে গিল ও সুদর্শন ওপেনিংয়ে ৬১ রানের যোগ করেন। তবে ম্যাক্সওয়েলের বলে বড় শট মারতে গিয়ে ৩৩ রানে গিল আউট হন। তাতে অবশ্য রানের গতি কমেনি। বাটলার ও সুদর্শন দুরন্ত গতিতে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। ৩০ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন সুদর্শন। তিনি ৭৪ রানে ফিরলে রাদারফোর্ডের সঙ্গে মিলে লড়াই চালান বাটলার। একসময় তো পাঞ্জাবের তুলনায় রানের নিরিখে এগিয়েই ছিল গুজরাত। তবে সামনে বিশাল লক্ষ্য। নাগাড়ে বড় শট খেলে যেতে হত। তবে বাটলার ৫৪ রানে আউট হলে সেই গতি কমে। শেষে রাদারফোর্ডও ৪৬ রানে ফেরে। কিন্তু এই লড়াই জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ১১ রানে ম্যাচ জেতে পাঞ্জাব। পাঞ্জাব বোলারদের মধ্যে নজর কাড়লেন অর্শদীপ সিংহ। অন্যদিকে অভিজ্ঞ সিরাজ একেবারেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাত টাইটান্সে গিয়ে।
আরও দেখুন