Professor Shankur Pratyabartan

প্রাককথন
প্রফেসর শঙ্কুর প্রত্যাবর্তন এই গল্পটি এক বিজ্ঞানীর সীমাহীন অনুসন্ধানপ্রবণ মন ও মানবতার প্রতি তার দায়িত্ববোধের গল্প। শঙ্কুর জীবন শুধু বিজ্ঞান নয়, জ্ঞান এবং নৈতিকতার মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখার এক প্রতীক হয়ে উঠেছে। এই কাহিনীতে শঙ্কু এমন এক রহস্যময় যন্ত্রের সন্ধান পান যা তাকে সময়ের সীমা ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু এই যন্ত্রের শক্তি যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি বিপজ্জনকও।
পাঠক এখানে আবিষ্কার করবেন কীভাবে শঙ্কু এবং তার সহযোগী রিনি সেই যাত্রায় নামেন, যেখানে তারা নিজেদের মানসিক শক্তি, সহনশীলতা এবং আত্মত্যাগের পরীক্ষা দেন। প্রতিটি অধ্যায়েই নতুন রহস্যের আবির্ভাব, প্রতিটি পরীক্ষার মধ্যে লুকিয়ে আছে এক নতুন শিক্ষা।
এই কাহিনীতে পাঠক একদিকে শঙ্কুর বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানী মন এবং অন্যদিকে তার মানবিক দায়িত্বের গভীরতা অনুভব করবেন। এটা কেবলমাত্র বিজ্ঞানের গল্প নয়, এটা এক মানুষের গল্প যে পৃথিবীর কল্যাণের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করতে প্রস্তুত।
Note from the Author’s Desk
লেখকের নিবেদন
এই কাহিনীটি লেখা আমার জন্য এক ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা। শৈশব থেকে প্রখ্যাত সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায়ের অধ্যাপক শঙ্কুর চরিত্র আমাকে মুগ্ধ করেছে। শঙ্কুর সেই বৈজ্ঞানিক উদ্দীপনা, সেই চিরন্তন কৌতূহল এবং একইসাথে তার নৈতিক দৃঢ়তা—এ সবই এই চরিত্রটিকে অমর করে তুলেছে।
এই কাহিনীর মাধ্যমে আমি শ্রদ্ধা জানিয়েছি সত্যজিৎ রায়ের সেই অমর সৃষ্টি এবং পাশাপাশি এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে শঙ্কুর জীবনকে পরখ করতে চেয়েছি। প্রফেসর শঙ্কুর প্রত্যাবর্তন এ আমি চেষ্টা করেছি সেই চিরন্তন বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান ও মানবিক দায়বদ্ধতার মাঝে ভারসাম্য আনতে।
রাজীব সিং
ছদ্মনাম: আলোকছায়া
এটি আমার পক্ষ থেকে পাঠকদের জন্য এক বিনম্র নিবেদন। আশা করি এই কাহিনীর প্রতিটি পৃষ্ঠা আপনাদের নতুন এক রোমাঞ্চের স্বাদ দেবে এবং শঙ্কুর চরিত্র আপনাদের হৃদয়ে নতুন করে জায়গা করে নেবে।
সংক্ষেপে, প্রফেসর শঙ্কুর প্রত্যাবর্তন একটি কল্পবিজ্ঞান এবং নৈতিক শিক্ষার মিলিত রচনা। এটি বিজ্ঞান ও মানবতার প্রতি এক বিশুদ্ধ শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং সত্যজিৎ রায়ের স্মৃতির প্রতি আমার বিনীত শ্রদ্ধার্ঘ্য।