জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আইপিএলে (IPL 2025) এবার দুরন্ত স্কোয়াড তৈরি করেছে পঞ্জাব কিংস (Punjab Kings in IPL 2025), ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত সব তারকাদের ধামাকায় পিবিকেএস (PBKS) প্লে অফের। ৯২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মূল্যায়ন এই ফ্র্যাঞ্চাইজির। আর পঞ্জাবের মালিকানা রয়েছে বলি অভিনেত্রী ও ডিভা প্রীতি জিন্টারও (Preity Zinta)। আর দল শেষ চারের টিকিট হাতে পেতেই নগ্ন সত্যে মগ্ন প্রীতি। এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন পিবিকেএস মালকিন।
পঞ্জাব দলের সিংহভাগ মালিকানাই রয়েছে কেপিএইচ ড্রিম ক্রিকেট প্রাইভেট লিমিটেড। এই সংস্থার মালিকানা রয়েছে প্রীতি জিন্টা ছাড়াও, নেস ওয়াদিয়া (যিনি আবার প্রীতির প্রাক্তন প্রেমিকও) ও মোহিত বর্মণের। প্রীতি এবার মোহিত-নেসের বিরুদ্ধে চণ্ডীগড় আদালতে মামলা করলেন। মালকিন প্রীতির অভিযোগ, গত ২১ এপ্রিল, কেপিএইচ ড্রিম ক্রিকেট প্রাইভেট লিমিটেডে এক্সট্রাঅর্ডিনারি জেনারেল মিটিং (ইজিএম) ডেকেছিল।
আরও পড়ুন: Preity Zinta: ‘ছেলেদের প্রচণ্ড খিদে’, মুখ খুললেন মালকিন, ১২০-র পর আর …
কোম্পানিতে ২৩ শতাংশ অংশীদার রয়েছে প্রীতির। তিনি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ওদিনের ইজিএম ডাকা হয়েছিল কোম্পানি আইন ২০১৩ এবং সচিবালয়ের মান লঙ্ঘন করে। আদালত এরপর বিবাদীদের – কেপিএইচ ড্রিম ক্রিকেট প্রাইভেট লিমিটেড এবং সহ-পরিচালক মোহিত এবং নেসকে নোটিশ জারি করেছে। এই মামলার শুনানির হবে আগামী ২৭ মে। যেখানে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করা হবে।
আইনজীবী সংগ্রাম সিং সারন প্রীতির হয়ে মামলা লড়ছেন, তিনি আদালতে বলেছেন যে, তাঁর মক্কেল ১০ এপ্রিলের ইজিএমের আপত্তি জানিয়ে ছিলেন ইমেইল করে তাসত্ত্বেও, মোহিত ইজিএমটি বেআইনিভাবে পরিচালনা করেছিলেন নেসের সমর্থনে। প্রীতির আরও অভিযোগ, ওদিনের সভা যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ না করেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল, বিশেষ করে চেয়ারপার্সন নির্বাচনের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: EXPLAINED, Preity Zinta, IPL 2025: ‘বছরের পর বছর আমাকে…’! আইপিএলের …
প্রীতির আবেদন অনুযায়ী, সভা শুরু হওয়ার পর, তিনি এবং তার সহযোগী পরিচালক করণ পল, নেসকে চেয়ারপার্সন হিসেবে নিয়োগের বিরোধিতা করেছিলেন, সচিবালয়ের মানদণ্ডের নীতি ৫.১ উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, কোম্পানির পরিচালকদের, নিজেদের মধ্যে থেকেই একজন চেয়ারপার্সন নির্বাচন করতে হয় যদি কেউ আগে থেকে মনোনীত না হন, প্রীতি এবং করণ তাঁদের যে কোনও একজনকে নিয়োগ করার পরামর্শ দেন, যার ফলে উপস্থিত চার পরিচালকের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হয়ে যায়। অচলাবস্থা সত্ত্বেও, মোহিত এবং নেস বৈঠক চালিয়ে যান। পাশাপাশি মুনীশ খান্নাকে অতিরিক্ত নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসাবে হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। প্রীতির দাবি যে, এটি কোম্পানির আর্টিকেল অফ অ্যাসোসিয়েশনের পাশাপাশি কর্পোরেট গভর্নেন্স নিয়মেরও লঙ্ঘন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)