জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকেই দায়ি করছে রাজ্য সরকার। বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই বন্যা ম্যান মেড। ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক না রাখা নিয়েও সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরকম এক পরিস্থিতিতে ডিভিসির বোর্ড থেকে পদত্যাগ করলেন রাজ্যের বিদ্যুত্ দফতরের প্রধান সচিব শান্তনু বসু। পাশাপাশি পদত্যাগ করেছেন রাজ্যের সেচ বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ারও। ফলে জোড়া ইস্তফায় ডিভিসির সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত নতুন রূপ নিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান শুরু না হলে ২০২৬-এ ভোটের প্রচারে যাব না’, রাজ্যকে ডেডলাইন দেবের…
ডিভিসি থেকে রাজ্যের প্রতিনিধি তুলে নেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিভিসি থেকে ইস্তফা পত্রে বিদ্যুত্ দফতরের সচিব শান্তনু বসু লিখেছেন, ডিভিসি থেকে পরিকল্পনাহীনভাবে জল ছাড়া হয়েছে। দুই জলাধার থেকে যেভাবে জল ছাড়া হয়েছে তার জেরে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। এরই প্রতিবাদে ইস্তফা দিচ্ছি।
নিম্নচাপের জেরে গত সপ্তাহে টানা বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায়। এর ফলে জেলাগুলির অধিকাংশ এলাকায় জল জমে যায়। তার উপরে ডিভিসি থেকে জল ছাড়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। বর্ধমান, বীরভূম, দুই মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়ার বিরাট এলাকা জলের তলায় চলে যায়। হাওড়ার উদয়নারায়নপুর, হুগলির খানাকুল, মেদিনীপুরের দাসপুর, ঘাটাল জলের তলায় চলে যায়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ওইসব এলাকায় যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
ডিভিসি থেকে রাজ্যের দুই প্রতিনিধির ইস্তফা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ওদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এই সরকারের আমলে এত দুর্নীতি হয়েছে যে যেসব বাঁধ রয়েছে সেখানে সামান্য বৃষ্টি হলেই জল ধারনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। একটা নির্দিষ্ট সীমার পর তো ডিভিসিকে জল ছাড়তেই হবে। যে দুর্গাপুরের পরিচালনার দায়িত্বে রাজ্য সরকার রয়েছে তারা জল ছাড়েন না!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)