ঢাকা: বাংলাদেশে এবার ধর্মীয় সংগঠন ISKCON-কে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠল। হাইকোর্টে আবেদন জমা পড়েছে সেই মর্মে। বাংলাদেশে ওই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আবেদন জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও ISKCON-কে ‘ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন’ বলে উল্লেখ করেছে। সংগঠনটির কাজকর্ম পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মহম্মদ ইউনূসের সরকার। (Bangladesh ISKCON Ban Plea)
বুধবার শুনানি চলাকালীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন বাংলদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনিই ISKCON-কে ‘ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন’ বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশে ISKCON-কে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানান। ISKCON সম্পর্কে বিশদ তথ্য চায় আদালত আজ, বাংলাদেশে ওই সংস্থার পত্তন হল কী ভাবে জানতে চাব। জবাবে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “ISKCON কোনও রাজনৈতিক দল নয়, সেটি একটি ‘ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন। ওদের কাজকর্ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ISKCON-কে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কী অবস্থান, তা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে সরকারকে পরিস্থিতি সামাল দিতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। (Bangladesh News)
Statement from ISKCON Bangladesh regarding the current situation in Bangladesh and the arrest of Chinmoy Krishna Das shared earlier today. pic.twitter.com/T9tPUbsrzj
— ISKCON (@iskcon) November 26, 2024
সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারির প্রতিবাদ ঘিরে এই মুহূর্তে অশান্ত বাংলাদেশ। ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে রংপুর-দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ-অবরোধ। রাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উপর হামলার অভিযোগও উঠেছে জামাত নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে। কয়েকদিন আগে চট্টগ্রামের হাজারি গলিতে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশ সেনার বিরুদ্ধে। তখন বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘু নাগরিককে বাংলাদেশ সেনা গ্রেফতার করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আদালত খারিজ হয়ে যায়। আর তার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। চট্টগ্রাম আদালতে বিক্ষোভ চলাকালীন সংঘর্ষে মৃত্য়ু হয় এক আইনজীবীর। সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দু’টি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটে’র ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন ওই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময়কে। গত জুলাই মাসেই চিন্ময়কে বহিষ্কার করে বাংলাদেশের ISKCON. যদিও চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির জন্য সওয়াল করেছে তারা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা জন্য আবেদন জানিয়েছে।
এর আগে, অক্টোবর মাসে চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের হয়। জাতীয় পতাকার ঊর্ধ্বে, চট্টগ্রামে তিনি গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করেন বলে অভিযোগ জমা পড়ে সেবার।
আরও দেখুন