NOW READING:
ড্রেনের জলেই ভেসে গেল নবনির্মিত ড্রেন ! সিমেন্টের সঙ্গে মেশানো হয়েছিল মাটি ? ক্ষোভ কাঁকসায়
April 16, 2025

ড্রেনের জলেই ভেসে গেল নবনির্মিত ড্রেন ! সিমেন্টের সঙ্গে মেশানো হয়েছিল মাটি ? ক্ষোভ কাঁকসায়

ড্রেনের জলেই ভেসে গেল নবনির্মিত ড্রেন ! সিমেন্টের সঙ্গে মেশানো হয়েছিল মাটি ? ক্ষোভ কাঁকসায়
Listen to this article



<p><strong>মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাঁকসা :</strong> দিনকয়েকের মধ্যেই জলে ভেসে গেল নবনির্মিত ড্রেন। ড্রেনের জলেই তা ভেসে গেল ! যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষ্ণুপুর গ্রামে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এবং মাটি মিশিয়ে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলে ঠিকাদারের কাছেই ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বও। স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়ে কাজ বন্ধ করে পালালেন ঠিকাদার । কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।</p>
<p><strong>ঘটনা বিস্তারিত…</strong></p>
<p>এক সপ্তাহ ধরে মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্থানুকূল্যে বিষ্ণুপুর গ্রামের ঘোষ পুকুর পাড়ে একটি ড্রেন নির্মাণ হয়েছে। ড্রেনের কাজ করেছিলেন মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠিকাদার মিনা চট্টরাজের ঠিকা সংস্থা। দায়িত্বে ছিলেন তাঁরই স্বামী অশোক চট্টরাজ। ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। দিন তিনেক আগে কাজ শেষ হয়। সেই সন্ধেয় হালকা বৃষ্টি হয়। আর তাতেই নবনির্মিত ড্রেন ভেসে যায় ওই ড্রেনের জলেই। বুধবার সকালে ওই ঠিকাদার ভেঙে যাওয়া ড্রেনের কাজ করতে এলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। উত্তেজনা ছড়ায়।&nbsp;</p>
<p>স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তুলছেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এই কাজ করা হয়েছিল। সেই জন্যই হালকা বৃষ্টির জলেই ভেঙে গেল। পলেস্তারাও ছেড়ে গেছে। এমনকী সিমেন্টের সঙ্গে মাটি মেশানো হয়েছিল সেটাও পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। সম্পূর্ণ ঠিকাদারের গাফিলতিতে এই অবস্থা।</p>
<p>এ প্রসঙ্গে বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা বিজেপি কিষাণ মোর্চার সাধারণ সম্পাদক ভগীরথ ঘোষ ঠিকাদারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "কেন এই কাজে মাটি ব্যবহার করা হল তার জবাব দিতে হবে। নিম্নমানের সামগ্রী কেন ব্যবহার করা হয়েছে তারও উত্তর দিতে হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত পঞ্চায়েতের ইঞ্জিনিয়ার আসছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কাজ করতে দেওয়া হবে না।"&nbsp;</p>
<p>যদিও ঠিকাদারের স্বামী অশোক চট্টরাজের বক্তব্য, "সিমেন্টের সঙ্গে মাটি মেশানো হয়নি। কোনও কারণে পাশের মাটি ঢুকে যেতে পারে। নিম্নমানের সামগ্রীও ব্যবহার করা হয়নি। বৃষ্টি হওয়ায় ড্রেনের কিছুটা অংশ ভেঙে গেছে।"</p>
<p>"জনগণের টাকায় এই ধরনের কাজ হচ্ছে। আর কোনও ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করলে বরদাস্ত করা হবে না।" তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য।</p>



Source link