NOW READING:
দু’বছর দু’মাস অতিক্রান্ত, সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন পার্থর, হেফাজতে পেতে তৎপর CBI-ও
October 1, 2024

দু’বছর দু’মাস অতিক্রান্ত, সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন পার্থর, হেফাজতে পেতে তৎপর CBI-ও

দু’বছর দু’মাস অতিক্রান্ত, সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন পার্থর, হেফাজতে পেতে তৎপর CBI-ও
Listen to this article


কলকাতা: জামিন চেয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষা দুর্নীতিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দায়ের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ পার্থ। গত দুই বছর দুই মাস ধরে জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। শীর্ষ আদালতে পার্থর হয়ে সওয়াল করেছেন তাঁর আইনজীবী মুকুল রোহতগি। এ নিয়ে ED-কে নোটিস দিয়েছে শীর্ষ আদালত। দুর্গাপুজোর পর এই মামলার শুনানি হবে। 

অন্য দিকে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ এবং অয়ন শীলকে হেফাজতে পেতে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI. SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে দু’জনকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পার্থ এবং অয়নকে হেফাজতে পেতে বিশেষ আদালতে আবেদন জানিয়েছে CBI. তাদের দাবি, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একাধিক তথ্য় হাতে এসেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ এবং প্রোমোটার অয়নকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। (SSC Scam Case)

কলকাতা হাইকোর্টেও সম্প্রতি পার্থর জামিনের প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের কথা ওঠে। গরুপাচার মামলায় দু’বছর জেলবন্দি থাকার পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বীরভূমে তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত। পুজো মিটলেই আবারও রাজনীতিতে আগের ভূমিকায় তাঁকে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন।  হাইকোর্টের বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় সেই প্রসঙ্গ টানেন। জামিন পেলে আবারও পার্থ পদে পুনর্বহাল হতে পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। বীরভূমের উদাহরণও দেন। (Partha Chatterjee)

এর পাল্টা পার্থর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, দু’বছরের বেশি সময় ধরে জেলবন্দি পার্থ। এর পর আর কাউকে পাশে পাবেন বলে মনে হয় না। শুধু তাই নয়, তাঁর মক্কেলের চেয়ে অনুব্রত অনেক বেশি ক্ষমতাশালী বলেও মন্তব্য করেছিলেন পার্থর আইনজীবী। সেই সময় আদালতে তিরষ্কৃত হয় CBI. এবার ED-র দায়ের করা মামলায় জামিন চেয়ে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে গেলেন পার্থ।

২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন অনুব্রত। তারও এক মাস আগে, ২০২২ সালের ২২ জুলাই গ্রেফতার করা হয় পার্থকে। এর পর শিক্ষামন্ত্রী এবং তৃণমূলের মহাসচিব পদ কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি, দলের তরফে তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়। যদিও গ্রেফতারির পরও পদে বহাল ছিলেন অনুব্রত। দু’বছরের সামান্য বেশি সময় পর জামিনে বেরিয়েও এসেছেন। পার্থ এখনও জেলবন্দি হয়ে রয়েছেন।

পার্থ এবং অনুব্রতর মধ্যে পার্থক্য কোথায় তা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষও। তাঁর বক্তব্য ছিল, “অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে বিজেপি-র হাঁকডাক ছিল। রাজনীতি ছিল এর নেপথ্যে। অন্য জনের ক্ষেত্রে কিন্তু আগে থেকে হুমকি ছিল না। দরজায় ‘অপা’ লেখা থাকবে, তা-ও জানা যায়নি। তাই পার্থক্য থাকবে।”

আরও দেখুন



Source link