প্যারিস: অলিম্পিক্সের মহিলাদের ফ্রিস্টাইল ৫০ কেজি কুস্তির ফাইনালে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ফাইনালের দিন সকালেই ১০০ কেজি ওজন বেশি হওয়ায় তাঁকে প্যারিস অলিম্পিক্স থেকেই বাতিল করে দেওয়া হয়। এরপরই রুপোর পদকের দাবিতে ক্রীড়া আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন বিনেশ। কথা ছিল শনিবারদিন এই মামলার শুনানি হবে। কিন্তু এবার একদিন পিছিয়ে গেল সেই শুনানি। আদৌ কি রুপো ভাগ্য সহায় হবে এই মহিলা কুস্তিগীরের। তা জানতে হলে আরও আরও একদিন অপেক্ষা করতে হবে। রবিবার ১১ আগস্ট এই মামলার রায়দান হবে। রাত ৯.৩০ টায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। বিনেশের হয়ে লড়ছেন ভারতের বিশিষ্ট আইনজীবী হরিষ সাভলে। এখন দেখার পিছতে থাকা এই মামলার রায়দান কার পক্ষে যায়। আদৌ বিনেশের ভাগ্য় সহায় হয় কি না।
এই বিষয়ে বিনেশের জেঠু দ্রোণাচার্য মহাবীর ফোগত জানিয়েছেন, ”আমরা গত তিনদিন ধরে এই শুনানির দিকে তাকিয়ে আছি। প্রতিদিন পিছিয়ে যাচ্ছে রায়দান। আশা করি শেষ পর্যন্ত বিনেশের ভাগ্য সহায় হবে।”
এদিকে, ৫৭ কেজি ফ্রি স্টাইল কুস্তিতে সেমিফাইনালে ভারতের আমন শেহরাওয়াতকে হারানো জাপানের রেই হিগুচি পাশে দাঁড়ালেন বিনেশের। আমনকে হারানোর পর প্যারিস অলিম্পিক্সে পুরুষদের ৫৭ কেজি ফ্রি স্টাইল বিভাগে সোনা জেতেন হিগুচিই। তবে বিনেশের বাতিল হওয়ার ঘটনায় মর্মাহত তিনি। আরও মন খারাপ বিনেশের অবসরের সিদ্ধান্ত শুনে। নিজের সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টে হিগুচি লিখেছেন, ”আমি তোমার যন্ত্রণা সবচেয়ে ভাল বুঝি। একইভাবে মাত্র ৫০ গ্রাম বেশি হওয়ায় বাতিল হয়েছিলাম আমি। চারপাশে কে কী বলছে সেসব নিয়ে ভেবো না। জীবন এগিয়ে চলে। বিপর্যয়ের পর ঘুরে দাঁড়ানো সবচেয়ে সুন্দর জিনিস। ভাল করে বিশ্রাম নাও।”
ফাইনালে খেলার সুযোগ হারানোর পর সেই হতাশায় অবসরের সিদ্ধান্ত নেন বিনেশ। যদিও যুগ্মভাবে রুপোর পদক দেওয়ার দাবি তুলে কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস বা CAS-এর দ্বারস্থ হয়েছেন বিনেশ। আদালতে শুনানিও হয়ে গিয়েছে। যদিও রায়দান এখনও বাকি।
একইরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল হিগুচিরও। টোকিও অলিম্পিক্সে মাত্র ৫০ গ্রাম ওজন বেশি হওয়ায় বাতিল হয়েছিলেন তিনি। যে কারণে বিনেশের সমব্যথী জাপানি পালোয়ান। জানিয়েছেন, বিনেশ আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে পারেন।
আরও পড়ুন: আপনার জীবন গোটা দেশের অনুপ্রেরণা, রেকর্ড গড়ে পদকজয়ীকে ফোনে আর কী বললেন মোদি?
আরও দেখুন