জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ বলা হয় অলিম্পিক্সকে। মাল্টি স্পোর্টসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইভেন্টে ‘সেক্স’ নাকি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ! অনেকে মনে করেন সেক্স ছাড়া অলিম্পিক্স অসম্পূর্ণ। অলিম্পিক্সের মধ্যে নারী-পুরুষের মিলনের খেলা চলে কখনও প্রকাশ্যে তো কখনও গোপনেও! এবার প্য়ারিস অলিম্পিক্সে ২০৬টি দেশের প্রায় ১০ হাজার ৫০০ অ্যাথলিট অংশ নিচ্ছেন (৫২৫০ পুরুষ ও ৫২৫০ নারী)। আর অবাধ যৌনতার লীলাক্ষেত্র হতে চলেছে প্যারিস! এমনটাই রিপোর্ট।
আরও পড়ুন: ‘যন্ত্রণা বলে বোঝাতে পারব না’! দেশের জন্য মায়ের ত্যাগ, ১৯ মাসের মেয়েকে রেখেই…
গতবছর টোকিও অলিম্পিক্স শুরুর আগেই খবরের শিরোনামে এসেছিল কার্ডবোর্ডের তৈরি ‘অ্যান্টি-সেক্স’ খাট! অনেকের মতে অলিম্পিক্সে সঙ্গম থেকে প্রতিযোগীদের দূরে রাখার জন্যই নাকি আয়োজকদের ভাবনায় এসেছিল এরকম খাটের কথা। যা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। কারণ করোনা আবহে অলিম্পিক্স হওয়ায় একাধিক নিষেধাজ্ঞাই রেখেছিলেন আয়োজকরা। তার মধ্য়েই ছিল এই যতটা সম্ভব অবাধ যৌনতা থেকে অ্যাথলিটদের দূরে রাখা। তবে এবার আর করোনা নেই। আর প্য়ারিসও উদ্দাম যৌনতার চারণভূমি। এই প্রথমবার অলিম্পিক্স হতে চলেছে লিঙ্গসাম্য়ের মঞ্চ।
অলিম্পিক ভিলেজ বরাবরই চর্চায় থাকে। এখানেই অ্যাথলিটরা থাকেন। এবার ‘ইন্টিমেসি ব্য়ান’ উঠে যাচ্ছে বলেই প্রায় ৩ লক্ষ কন্ডোম বিলোনো হবে। নিরাপদ যৌনতা অর্থাৎ ‘সেফ সেক্স’ ও এইচআইভি প্রতিরোধের সচেতনা বাড়ানোর লক্ষ্য থাকে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিরও। সেই ১৯৮৮ সালে সিওল অলিম্পিক্সে বিনামূল্যে ৮৫০০ কনডোম বিতরণ করা হয়েছিল। গতবছর রিওতে রেকর্ড ৪ লক্ষ ৫০ হাজার কন্ডোম দেওয়া হয়েছিল তবে, টোকিও অলিম্পিক্সে দেড় লক্ষ কন্ডোম দেওয়ার কথা ভেবেছেন আয়োজকরা।
এই কয়েক বছরের কন্ডোম বিতরণের পরিসংখ্যানই বলে দেয় যে, অলিম্পিক্সের সঙ্গে সেক্স জুড়েই রয়েছে। গতবারের মতো এবারও কার্ডবোর্ডের বিছানা হচ্ছে। তবে জানা যাচ্ছে যে প্রতিটি ঘরে থাকা দু’টি করে খাট কম করে ৫৫০ পাউন্ড ওজন নিতে পারবে। এছাড়াও ভিলেজে থাকবে সেক্সুয়াল হেলথ টেস্টিং সেন্টার। সেখানে আবার নিরাপদ যৌনচার নিয়েও অ্যাথলিটদের পাঠ দেওয়া হবে। থাকবে নন-অ্যালকোহলিক বার।
আরও পড়ুন: ‘খুব পরিষ্কার করে…’, শর্ত সাপেক্ষে লাইফলাইন মহীরুহদের! কী নিদান নতুন হেডমাস্টারের?
হাতে আর ঠিক পাঁচ দিন। তারপরেই শুরু অলিম্পিক্স। প্য়ারিস মহাযুদ্ধে তেরঙা তুলে ধরার গুরুদায়িত্বে রয়েছেন ১১৭ জন (৭০ পুরুষ, ৪৭ মহিলা) ভারতীয় অ্যাথলিট। ৬৯টি ইভেন্টে ৯৫টি পদকের জন্য় লড়াই। তাঁদের সঙ্গ দেবেন ১৪০ জন সাপোর্ট স্টাফ। ২৫৭ সদস্য়ের টিম যাচ্ছে প্য়ারিস। ২০২০ টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ভারত জিতেছিল ৭টি পদক। এর আগে ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক্সে ভারত জিতেছিল হাফ জজন পদক। নিজেদের পারফরম্যান্সকেই ছাপিয়ে গিয়েছিল ভারত। গোটা দেশ জয়গান করেছিল নীরজ-মীরাবাঈ-সিন্ধুদের জন্য। অলিম্পিক্স থেকে পদক নিয়ে ফিরেছিলেন নীরজ (জ্যাভলিনে সোনা), মীরাবাঈ চানু (৪৯ কেজি ভারোত্তোলনে রুপো), রবি দাহিয়া (৫৭ কেজি ভারোত্তোলনে রুপো), লভলিনা বড়গোহাঁই (মহিলাদের ওয়াল্টারওয়েট বক্সিং), পিভি সিন্ধু (মহিলা সিঙ্গলসের ব্যাডমিন্টনে ব্রোঞ্জ) ও বজরং পুনিয়া (ফ্রিস্টাইল কুস্তির ৬৫ কেজিতে ব্রোঞ্জ)। ভারতীয় পুরুষ হকি দলেরও এসেছে ঐতিহাসিক ব্রোঞ্জ। দেখা যাক ভারত এবার প্য়ারিসে গিয়ে টোকিয়োর সাফল্য় ছা়ড়িয়ে যেতে পারে কিনা!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)