কলকাতা: পানাগড়ে গাড়ি উল্টে ২৭ বছরের সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এখনও অধরা রবিবার রাতে সাদা গাড়ির চালকের আসনে বসে থাকা বাবলু যাদবও। ঘটনার পর বাবলু যাদব কেন পালিয়ে গেলেন, উঠছে সেই প্রশ্নও।
২৭ বছরের সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর দুটো দিন পেরিয়ে গেলেও, অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এর মধ্য়ে দুর্ঘটনার মুহূর্তের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এনেছে পুলিশ। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে সাদা গাড়িটি যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পিছনে আসছে নীল রঙের গাড়িটি। যে গাড়িতে সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্য়ায় ছিলেন। কিছুটা দূরে গিয়ে, একটা মোড়ের কাছে সাদা গাড়িকে টপকে যায় নীল গাড়ি। এরপরই নীল রঙের গাড়িটি উল্টে যায়। তবে এখনও যে প্রশ্নটা থেকে যাচ্ছে, তা হল, এর আগে কী হয়েছিল?
সোমবারই জানা গেছিল, অভিযুক্তরা যে সাদা গাড়িতে ছিল, তার মালিকের নাম বাবলু যাদব। সেই বাবলু যাদব কোথায়? পানাগড়ের রাইস মিল রোডে রবিবার মধ্যরাতে গাড়ি উল্টে সুতন্দ্রার মৃত্য়ু হয়। সেখান থেকে কয়েকশো মিটার এগোলেই, বাবলু যাদবের বিশাল বাড়ি। বাড়ির সামনেই রয়েছে বড় গোডাউন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আগে এক ব্যবসায়ীর অধীনে কাজ করতেন বাবলু যাদব। ৮-১০ বছর আগে নিজের ব্যবসা শুরু করেন। লরি বা বড় গাড়ির চাকার ওপরে যে লোহার পাত থাকে, চলতি ভাষায় তাকে পাত্তি বলে। এই পাত্তিরই ব্যবসা শুরু করেন বাবলু। কয়েক বছরের মধ্যেই তাঁর ব্যবসা ফুলেফেঁপে ওঠে। স্থানীয় বাজার থেকে শুরু করে বাংলাদেশে লোহার পাত্তি রফতানি করতেন বাবলু।
বছর ৩৬-এর বাবলুর বাড়িতে এদিন ডাকাডাকি করলেও কেউ সাড়া দেননি। এর কিছুক্ষণ পরেই সেখানে পৌঁছন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি। বাবলু যাদবের গোডাউনের এক কর্মীর দাবি, রবিবার সন্ধেয় বাড়ি থেকে বেরনোর সময় গাড়ি চালাচ্ছিলেন বাবলুই। বাবলুর পাশাপাশি গাড়িতে ছিলেন ছোটু, রাজকুমার, চন্দন ও গোপী নামে চারজন। সঙ্গীরা মোটরবাইক নিতে ফিরলেও, ফেরেননি বাবলু। কিন্তু, কেন? ধোঁয়াশা সেখানেও।
আরও পড়ুন: Tangra News: বিলাসবহুল জীবনযাপনেই এমন বিপর্যয়? ট্যাংরাকাণ্ডে আইনি প্রক্রিয়া শুরুর পথে পুলিশ
আরও দেখুন