Pakistan Flag: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার (Kashmir Attack) পর বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। ভারতের পাকিস্তানে হামলা (India Pakistan War) এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই জঙ্গি হামলার পর থেকেই ইসলামাবাদকে কাঠগড়ায় তুলেছে নয়াদিল্লি। ভারতে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ায় পাকিস্তানের পতাকা অবমাননা শুরু করেছে দেশবাসী। অনেক জায়গায় পাকিস্তানের পতাকা অবমাননার সময় আটকাচ্ছে পুলিশ। ভারতে পাকিস্তানের পতাকার অবমাননা করলে সাজা হবে ? কী বলছে আইন।
জঙ্গি হামলার পাল্টা ভারত কী করেছে
দেশে উত্তেজনার পরিবেশ চরম আকার ধারণ করছে। ২২শে এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ভারত সরকার সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান সম্পর্কিত অনেক সংবাদমাধ্যম, ইউটিউব অ্যাকাউন্ট এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে।
কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই বলেছেন, এই হামলার যথাযোগ্য জবাব দেবে দেশ। এরপর থেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অনেক জায়গায় পাকিস্তানি পতাকা পোড়ানো হচ্ছে। কিছু জায়গায় মানুষ রাস্তায় পাকিস্তানি পতাকা লাগিয়ে লাথি মারছে, পাড়িয়ে যাচ্ছে। তাহলে কি এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে ? জেনে নিন, এই বিষয়ে কী রয়েছে আইনে।
ভারতে কি পাকিস্তানি পতাকার অবমাননা করলে শাস্তি হবে?
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে। তাদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ প্রকাশের জন্য, ভারতে পাকিস্তানি পতাকা পোড়ানো হচ্ছে। রাস্তায় তাদের টাঙানো হচ্ছে এবং লাথি মারা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ভাবছেন যে পাকিস্তানি পতাকার অবমাননা করলে কি কাউকে আইনত শাস্তি দেওয়া যাবে?
বিদেশি পতাকার অবমাননার জন্য ভারতে আলাদা কোনও আইন তৈরি করা হয়নি। তাই সরাসরি এই কাজ করার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তবে, যদি জনসাধারণের শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য অথবা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানোর জন্য এই ধরনের কাজ করা হয়, তাহলে ভারতীয় আইন ২০২৩ এর ধারা ১৯৮ এর অধীনে ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য মামলা দায়ের করা হতে পারে।
কী শাস্তি হতে পারে
২০২৩ এর ধারা ১৯৮ এর অধীনে ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য মামলা দায়ের করা যেতে পারে। যদি এই ধরনের মামলায় কাউকে অপরাধী হিসেবে ধরা হয় ও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে ৩ বছর পর্যন্ত জেল অথবা জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে। এর পাশাপাশি উভয় শাস্তিও দেওয়া যেতে পারে অপরাধীরে। এর পাশাপাশি জনসাধারণের শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য BNS এর ধারা ১৯৫ এর অধীনে মামলা দায়ের করা যেতে পারে। ৩ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধানও রয়েছে এই ক্ষেত্রে।
(তথ্য সূত্র- এবিপি লাইভ হিন্দি)
আরও দেখুন