NOW READING:
Operation Sindoor: ভণ্ডামি প্রকাশ্যে, জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির পাক সেনা অফিসাররা, নাম ফাঁস করল ভারত
May 12, 2025

Operation Sindoor: ভণ্ডামি প্রকাশ্যে, জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির পাক সেনা অফিসাররা, নাম ফাঁস করল ভারত

Operation Sindoor: ভণ্ডামি প্রকাশ্যে, জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির পাক সেনা অফিসাররা, নাম ফাঁস করল ভারত
Listen to this article


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাকিস্তান বারবারেই বলে থাকে তারা জঙ্গিদের সমর্থন করে না। তারা নিজেরাই জঙ্গি হামলার শিকার। তবে অপারেশন সিঁদুর-এ একাধিক জঙ্গির মৃত্যুর পর পাকিস্তানের সেই ভণ্ডামি প্রকাশ্যে এসে গেল। দেখা গেল  বেশ কয়েকজন কুখ্যাত জঙ্গির শেষকৃত্যে হাজির পাক সেনার একাধিক অফিসার। ওইসব পাক অফিসারের নাম প্রকাশ করল ভারত।

পাকিস্তানের মুরিদকে-তে অনুষ্ঠিত হয় একাধিক জঙ্গির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে। ওই তালিকায় ছিল লস্কর কমান্ডার আবদুল রউফ। সেই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের একাধিক পুলিস অফিসার ও সেনা কমান্ডার। উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফাইয়াজ হুসেন, মেজর জেনারেল রাও ইমরান, ব্রিগেডিয়ার মহম্মদ ফুরকান, পঞ্জাবের বিধায়ক উসমান ওনোয়ার, মালিক সোয়েব আহমেদ।

অপারেশন সিঁদুর- আঘাত করা হয় পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের ভেতরে মোট ৯ জায়গায়। এর মধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৫টি। ওইসব জায়গা হল সাওয়াল নালা, সইয়েদেনা বিলাল, গুলপুর, বারতিতেনালা এবং আব্বাস। অন্যদিকে, পাকিস্তানের ভেতরে বাহওয়ালপুর, মুরিদকে, সারজাল, মেহমুনা জোয়া। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দাবি, মোট ২১টি জঙ্গি শিবির চিহ্নিত করা হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানে।

ভারত আঘাত করেছে মুরদিকে ও বাহওয়ালপুরে। মৃত্যু হয়েছে খালিদ আবু আকাসা নামে এক জঙ্গির। সে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে অস্ত্র আমদানি করত। লস্করের ক্যাম্প প্রশিক্ষিত এই জঙ্গি নাশকতা চালাত জম্মু ও কাশ্মীরে।

আরও পড়ুন-ব্রহ্মসেই বাজিমাত! জইশের হেড কোয়ার্টার ধুলিসাত্ ভারতের এই ব্রহ্মাস্ত্রেই?

আরও পড়ুন-টার্গেট ছিল জঙ্গিরাই, পাক সেনা নয়, ওরা ড্রোন পাঠাতেই পাল্টা দিয়েছি: ভারতীয় সেনা

উল্লেখ্য, গতকালই তিনি বাহিনীর প্রধান পাকিস্তানের অপারেশন  সিঁন্দুর-এর ব্যপারে বিস্তারিত তথ্য দেন। এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী বলেন,  অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে আমরা ৯ টার্গেট নির্বাচন করেছিলাম। বাহাওয়ালপুর ও মুরদিকের মতো জায়গায় কুখ্যাত সব জঙ্গি ট্রেনিং শিবির ছিল। কীভাবে ওইসব ক্যাম্পগুলি ধ্বংস করা যাবে তার আমরা ঠিক করি। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে আমরা এয়ার টু সারফেস গাইডেড মিসাইল ব্য়বহার করি যাতে কোল্যাটারাল ড্যামেজ বেশি না হয়। কীভাবে আঘাত করা হয়েছিল তা বলা সম্ভব নয়। মুরিদকের জঙ্গি শিবির দেখিয়ে ভারতী বলেন, ওই জায়গায় পূর্ব দিকে দুদেশের সীমানা। সেই জায়গায় লাল একটি ভবন ধ্বংস করা হয়েছে ৭ মে ভোরে। পাশাপাশি বাহওয়ালপুরের দুই জায়গায় ছাদ ফুটো করে গিয়ে জঙ্গি শিবিরে আঘাত হানে আমাদের মিসাইল। দোতলা বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। এভাবেই আমার দুটি  জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমাদের লক্ষ্য ছিল জঙ্গিঘাঁটি। পাকিস্তানি সেনাঘাঁটি  বা সাধারণ মানুষের বসতি আমাদের লক্ষ্য ছিল না।

এয়ার মার্শাল ভারতী আরও বলেন, গত ৭ মে সন্ধেয় আমরা দেখলাম ঝাঁকে ঝাঁকে পাক ড্রোন ছুটে আসছে আমাদের দিকে। আমাদের জনবসতি ও সেনা ছাউনি তাদের আওতায় চলে আসছে। তাদের খুব সফলভাবেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। যে গুটিকয় আঘাত হানতে পেরেছে তা খুবই সামান্য। এখনে যে বিষয়টির তফাত তা হল ওরা আমাদের সাধারণ মানুষের উপরে হামলা চালিয়েছে। তাই আমাদের জবাব দিতে হয়েছে। ওই রাতেই আমরা লাহোর ও গুজরানওয়ালা ওদের রেডার অপারেশনে আঘাত করি। এভাবেই আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি যে আমরা তৈরি রয়েছি।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link