India Pakistan War: ভারতের হামলার আগেই একে একে ধরাশায়ী অবস্থা হচ্ছে পাকিস্তানের। শীঘ্রই বড় জল সংকট (Pakistan Water Crisis) নেমে আসতে চলছে পাক ভূখণ্ডের একটি বড় অংশে। খোদ সেই বিষয় স্বীকার করে নিয়েছে প্রশাসন।
তিনটি প্রধান বাঁধের জল স্তরে অস্বাভাবিক পতন
পাকিস্তান বর্তমানে একটি বড় জল সংকটের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা করছে। কারণ গত কয়েকদিন ধরে তার তিনটি প্রধান বাঁধের জলস্তরে তীব্র পতন লক্ষ্য করা গেছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে রাজধানী ইসলামাবাদে জল সরবরাহকারী রাওয়াল, সিমলি ও খানপুর বাঁধের জলের স্তর দ্রুত নেমে গেছে।
৭০০ ফুটের নীচে জলস্তর
রাওয়ালপিন্ডিতে জল স্তর ৭০০ ফুটের নীচে নেমে গেছে, যার ফলে শহরজুড়ে বড়সড় জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই ঘাটতি বেসরকারি জলের ট্যাঙ্কার পরিচালনাকারীদের আয় বাড়িয়েছে। যারা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অনেক বেশি হারে জল বিতরণ করছে।
১৫ বৃষ্টি না হলেই জল পাওয়া কঠিন হবে
পাকিস্তানের জাতীয় খরা পর্যবেক্ষণ ও প্রাথমিক সতর্কতা কেন্দ্র (এনডিএমসি-ইডব্লিউসি) জানিয়েছে- রাওয়াল বাঁধের ধারণক্ষমতা ১,৭৫২ ফুট এবং নীচের স্তর ১,৭০৮ ফুট। রাওয়াল বাঁধের বর্তমান জল স্তর ১,৭৪১ ফুট, যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। তাছাড়া, সিমলি বাঁধ যা দেশের রাজধানীতে একচেটিয়াভাবে জল সরবরাহ করে ও যার ধারণক্ষমতা ২,৩১৫ ফুট। এখানে ডেড লেভেল ২,২৩৩ ফুট, বর্তমানে জল স্তর ২,২৬৩ ফুট।
খাইবার পাখতুনখোয়ার কী অবস্থা
জল সংকটের পরিস্থিতি গ্রাস করতে পারে খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি) এর অ্যাবোটাবাদকেও। জেলার খানপুর বাঁধের ধারণক্ষমতা ১,৯৮২ ফুট এবং ডেড লেভেল ১,৯১০ ফুট। এর বর্তমান জল স্তর ১,৯৩৭.৫৮ ফুট। এনডিএমসি-ইডব্লিউসি-এর একজন আধিকারিক জানিয়েছেন,” দুই শহরের কমপক্ষে ৪০ থেকে ৪৫ দিনের চাহিদা মেটাতে বাঁধগুলিতে বর্তমানে পর্যাপ্ত জল রয়েছে। যদি আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত না হয়, তাহলে বাষ্পীভবন এবং তীব্র তাপের কারণে জল স্তর মারাত্মকভাবে হ্রাস পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।”
আরও দেখুন