NOW READING:
Pahalgam Terror Attack: জঙ্গি-নিধনে সেদিন কি ভয়ংকর ‘ভুল’ করেছিল সিআরপিএফ? জঙ্গি ধরতে ‘অন্যায়’ করেছিলেন সংশ্লিষ্ট অফিসার? ঘনাচ্ছে রহস্য…
May 6, 2025

Pahalgam Terror Attack: জঙ্গি-নিধনে সেদিন কি ভয়ংকর ‘ভুল’ করেছিল সিআরপিএফ? জঙ্গি ধরতে ‘অন্যায়’ করেছিলেন সংশ্লিষ্ট অফিসার? ঘনাচ্ছে রহস্য…

Pahalgam Terror Attack: জঙ্গি-নিধনে সেদিন কি ভয়ংকর ‘ভুল’ করেছিল সিআরপিএফ? জঙ্গি ধরতে ‘অন্যায়’ করেছিলেন সংশ্লিষ্ট অফিসার? ঘনাচ্ছে রহস্য…
Listen to this article


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পহেলগাঁও-কাণ্ড (Pahalgam Terror Attack) নিয়ে রোজই কিছু না কিছু নতুন করে আলোচনায় উঠে আসছে। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের (Terror Attack on Tourists at Pahalgam) বৈসরনে শুরু হয়েছিল জঙ্গিদের অপারেশন। এক ঘোড়াওয়ালার মুখে খবর পেয়েছিল সিআরপিএফ। সঙ্গে সঙ্গে তারা পাল্টা অপারেশনে নেমে পড়েছিল। কিন্তু পরে তা নিয়ে হয় জলঘোলা। পহেলগাঁওয়ে ঘটনার (Pahalgam Terror Attack) পরেই অকুস্থলে সেদিন প্রথম কে পৌঁছেছিলেন? গিয়েছিলেন এক কমান্ডিং অফিসার (Commanding Officer)। সিআরপিএফ ডিরেক্টর জেনারেল (CRPF Director General) জিপি সিং (GP Singh) সেই সিও-র কাছে সেদিনের খুঁটিনাটি খবর জানতে চেয়েছেন। চেয়েছেন কিছু কিছু জিনিসের ব্যাখ্যাও। 

আরও পড়ুন: Badrinath Dham: প্রথম মহা অভিষেকের ভোরেই আশ্চর্য ছবি বদ্রীনারায়ণ মন্দিরে! যখন বেদমন্ত্র ধ্বনিত হচ্ছে, তখন ১৫ হাজার ভক্ত…

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: অবিশ্বাস্য! জঙ্গিরা যখন অপারেশনে, তখন ট্যুরিস্টদের তাড়িয়ে বন্দুকের নলের দিকে আনছিল দুই ‘পর্যটক’ই…

কেন সাততাড়াতাড়ি বৈসরন ভ্যালিতে?

১১৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের ওই কমান্ডিং অফিসারই (CO) সেদিন বৈসরনে প্রথম পা রেখেছিলেন। যা দেখে উপস্থিত সকলেই চমকে উঠেছিলেন। খুব দ্রুত অ্যাকশন নিয়েছিলেন তিনি। যা নানা মহলে প্রশংসিতও হয়েছে। কিন্তু কেন তাঁকে ডাকা হল?

একটি ভার্চুয়াল মিটিংয়ে জিপি সিং মীতেশ জৈন নামের ইনস্পেক্টর জেনারেলকে ওই কমান্ডিং অফিসারের থেকে ঘটনার দিনের ব্যাখ্যা চেয়েছেন। অনেকজন অফিসার নিয়ে করা এক বড় মিটে এই বিষয় নিয়ে খোঁজখবর করা হয়। ব্যাপারটিকে অবশ্য ‘ফর্মাল এক্সপ্লানেশন’ই বলা হচ্ছে।

সবচেয়ে আশ্চর্যের হল ওই সিআরপিএফ অফিসার সময়মতো কর্তব্য পালনের জন্য নানা মহলেই প্রশংসিত হয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন তাঁকে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া? ওই কমান্ডিং অফিসারও উক্ত মিটিংয়ে ছিলেন। কিন্তু প্রয়ুক্তিগত সমস্যার জন্য তিনি তাঁর তরফের ব্যাখ্য়া দিতে পারেননি।

ওই কুইক অ্যাকশন টিমের তরফে সাহসী ওই পনি রাইডারকেও ধন্যবাদ জানানো হয়। কুইক অ্যাকশন টিম সেদিন বৈসরন ভ্যালিতে গিয়ে দেখেন, বেশ কয়েকজন ট্যুরিস্ট রক্তাক্ত হয়ে পড়ে আছেন!

ভিড়ে মিশে জঙ্গি

না, পরে প্রকাশ্যে আসে অবিশ্বাস্য তথ্য। তারা মোটেই ট্যুরিস্ট নয়। বরং ট্যুরিস্টের পোশাকে জঙ্গিই। ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়েছিল তারা। কেননা, অপরাশেন শুরু হয়ে গেলে লোকজন যে দৌড়াদৌড়ি করে পালাতে চেষ্টা করবেন, সেটা খুব স্বাভাবিক। আর তখনই তাদের আটকে দিয়ে বরং অপরাশেনের কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে– এরকম একটা প্ল্যানই ছিল তাদের।

বৈসরনে সেদিন প্রথম গুলির শব্দ শোনা যেতেই ভয়ংকর কিছু ঘটছে আঁচ করে লোকজন পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে লুকিয়ে পড়তে ছুটছিলেন। আর তখনই তাঁদের বন্দুকের রেঞ্জের সামনে নিয়ে আসার ‘জরুরি’ কাজটি করছিল দুই ট্যুরিস্ট-রূপী জঙ্গিই। সেদিন সেই অপারেশনে ২৫ জন ট্যুরিস্ট এবং একজন ঘোড়াচালক মারা গিয়েছিলেন। 

প্রথম অ্যাটাকটা শুরু হয় দুটি কি তিনটি পয়েন্ট থেকে। বৈসরনে ঢোকা বা বেরনোর রাস্তার মোটামুটি ৫০ মিটারের মধ্যেই ঘটে এটা। প্রথমে অপারেশনটা শুরু করে ৪-৫ জন। ক্রমে দেখা যায়, গোটা এলাকাটাই জঙ্গিরা সব দিক থেকেই ঘিরে ফেলেছে।

বন্ধ দোকান

এদিকে গোয়েন্দাদের নজরে এসেছে, যে, একজন দোকানদার ১৫ দিন আগে তাঁর দোকান খুলেছিলেন, কিন্তু ঘটনার দিন তিনি দোকান খোলেননি। ন্যাশনাল ইনভেস্টেগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-এর সদস্যরা বিষয়টির তদন্তে নেমেছেন। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহামলায় ২৬ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। ঘটনার পরে শুধু কাশ্মীরে নয়, সারা দেশে সাড়া পড়ে যায়। ক্রমে বিষয়টি আন্তর্জাতিক উদ্বেগের বিষয়ও হয়। এনআইএ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার তদন্তে নেমে পড়ে। তদন্ত করতে নেমে তারা ১০০ স্থানীয় বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেটা করতে গিয়েই ওই বিশেষ একটি দোকানের বন্ধ থাকার খবর পায় তারা। তখনই তারা বিষয়টি নিয়ে একটু অন্য ভাবে তদন্ত শুরু করে দেন। লোকটিকে ট্রেস করা গিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। দেখা হচ্ছে, তাঁর ইন্টারনেট প্রোটোকল ডিটেইলস– যদি কোথাও কোনও তথ্য থেকে থাকে।

১০০ জনের তালিকা

এনআইএ একটি তালিকা বানিয়েছে। সেই তালিকা মূলত স্থানীয়দের। প্রকারান্তরে সেই তালিকাটা সন্দেহভাজনদেরও। গোয়েন্দারা দেখছেন, অভিশপ্ত সেই দিনে অকুস্থলে বা অকুস্থলের নিকটস্থ এলাকায় কাদের কাদের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা ছিল, কারা কারা ছিল এবং কারা ছিলেন না।  সেই কাজের সূত্রেই ১০০ জনের নামের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কারা কারা আছেন সেই তালিকায়? ঘোড়া বা খচ্চরের মালিকেরা, দোকানদারেরা, ফোটোগ্রাফাররা, এবং বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে যুক্ত লোকজন। এঁদের থেকে বিভিন্ন রকম তথ্য সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দারা। আর এভাবেই আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে পহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্ত। 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link