জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিজেই নিজের ডাক্তার হয়ে বসে রোগের চিকিৎসা করার বদ অভ্যাস অল্পবিস্তর সকলেরই আছে। তবে, এই প্র্যাকটিস যে, খুবই খারাপ তা নানা সময়ে নানা ভাবে বলেন ডাক্তারেরা। কিন্তু কে শোনে কার কথা!
আরও পড়ুন: Bangla Bandh: কতক্ষণ বনধ? রাস্তায় কি বেরনো যাবে না? রাজ্য জুড়ে বুধবারও চলবে ক্ষোভ-বিক্ষোভ-প্রতিবাদ?
তবে, এ নিয়ে মাঝে-মাঝেই সাবধানবাণী শোনান চিকিৎসকেরা। শোনায় তাঁদের কোনও ফোরাম, বা তাদের কোনও রিসার্চ। সম্প্রতি এ নিয়ে এক সাবধানবাণী শোনা যাচ্ছে, যা, যথেষ্ট ভীতিজনক।
সবচেয়ে যা বেশি আতঙ্কের তা হল, প্যারাসিটামল বেশি খেলে লিভারের বিপুল ক্ষতি হয়। তাঁরা বলছেন, একমাত্র ডাক্তারের পরামর্শমতোই প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে, নচেৎ নয়। ইন্ডিয়ান ড্রাগ রেগুলেটর বলছে, সারাদিনে একজন পরিণতবয়স্ক মানুষ ম্যাক্সিমাম ৪ গ্রাম প্যারাসিটামল খেতে পারেন, এর বেশি নয়।
আমরা কখন প্যারাসিটামল খাই?
সাধারণত, অল্প জ্বর হলে, এমনকি মাথা ব্যথা, পেশিতে টান ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলেও অনেকে টপ করে প্যারাসিটামল গিলে নেন। অনেকেই এমন শারীরিক অবস্থায় প্যারাসিটামল খেয়ে নেন, আসলে যখন তা খাওয়ার কোনও দরকারই নেই। হয়তো তখন সাবধান হলেই হয়। কিন্তু, একটু বেশি সাবধান হয়ে গিয়ে তাঁরা নিজের জ্ঞান বুদ্ধিমতো দোকান থেকে প্যারাসিটামল কিনে খেয়ে নেন!
বেশি প্যারাসিটামল খেলে কেন লিভারের এত ক্ষতি হয়?
আরও পড়ুন: Kolkata Doctor Rape And Murder Case: লাগাতার জেরার মধ্য়ে হাঁপিয়ে উঠে শেষ পর্যন্ত তদন্তকারীদের কী বলল সঞ্জয়?
আমাদের লিভার অন্য খাবারের মতো প্যারাসিটামলকেও ভেঙে পরিপাকযোগ্য করে তোলার ক্ষমতার অধিকারী। প্যারাসিটামলকে সে ভেঙে প্রয়োজনীয় উপদান শরীরের জন্য সংগ্রহ করে নেয়। এবং যা বর্জনযোগ্য উপাদান, তা বর্জ্য হিসেবে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু এই পুরো কাজটিই লিভার করতে পারে, যখন প্যারাসিটামলের পরিমাণ কম থাকে। যখনই এই কাজটা লিভারকে বারবার করতে হয়, তখনই সে ব্যর্থ হয়। আর ব্যর্থ হলেই লিভারের উপর বেশি চাপ পড়ে। নানা রকম প্রতিক্রিয়া ধরা পড়ে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)