Indian Defence System: অপারেশন সিঁদুর সফল হয়েছে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই এই অভিযান সংক্রান্ত অনেক খুঁটিনাটি তথ্যই সেনার তরফে প্রকাশ করা হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। আর সেখানে বারবার প্রতিফলিত হয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা শক্তির তীব্র গতির উত্থান। প্রযুক্তিগত ভাবেও দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন সিস্টেম বর্তমানে যথেষ্ট উন্নত, টেক্কা দিতে পারে বিশ্বের অনেক দেশকেই। সেই প্রসঙ্গেই বিশেষ তথ্য দিল ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সোশ্যাল মাধ্যমে তারা জানিয়েছে, দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ- এর মতো মিসাইল, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) যুক্ত ড্রোন, ইসরো দ্বারা প্রাপ্ত স্যাটেলাইট ভিত্তিক সার্ভিলিয়েন্স এবং বিভিন্ন স্তরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম – এইসবের সাহায্যেই ভারত সীমান্ত অতিক্রম না করেই নির্ভুলভাবে হামলা চালিয়েছে শত্রুপক্ষের আঘাতকে সফলভাবে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। এর পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে যে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী, সরকারি গবেষণা এবং উন্নয়ন ও বেসরকারি উদ্ভাবনের সমন্বয় প্রমাণ করেছে যে ভারতের আর্মি বর্তমানে শুরু প্রতিক্রিয়াশীল নয়। বরং ভারতীয় সেনাবাহিনী সক্রিয়, স্বনির্ভর এবং বিশ্ব স্তরে প্রতিযোগিতায় পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। আগামী দিনের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত ভারতের এই উদীয়মান প্রতিরক্ষা শক্তি।
Operation Sindoor showcased the sharp rise of India’s defence power and technological might. With indigenous missiles like Akash, AI-powered drones, satellite-backed surveillance from #ISRO, and layered air defence systems, India delivered precision strikes and neutralized enemy…
— Ministry of Defence, Government of India (@SpokespersonMoD) May 14, 2025
অন্যদিকে আজই নতুন একটি কাউন্টার ড্রোন সিস্টেমের সফল পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। এর খরচ তুলনায় অনেক কম। নাম ‘ভার্গবাস্ত্র’। কম খরচের এই কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম নির্মাণ করেছে সোলার ডিফেন্স অ্যান্ড এরোস্পেস লিমিটেড (এসডিএএল)। শত্রুপক্ষের তরফে ড্রোন হামলা হলে, ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন উড়ে এলেও সেগুলিকে প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে এই ‘ভার্গবাস্ত্র’। ভার্গবাস্ত্র নামের এই কাউন্টার ড্রোন সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়েছে মাইক্রো রকেট। গোপালপুরের Seaward Firing Range- এ মাইক্রো রকেট যুক্ত এই কাউন্টার ড্রোন সিস্টেমের একাধিক কঠিন পর্যায়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তা পূরণ হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়েছে ভার্গবাস্ত্র। রকেট নিক্ষেপের জন্য তিনটি ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে গোপালপুরে।
দু’টি ট্রায়ালে একটি করে রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। আর একটি ট্রায়ালে দু’টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। এক্ষেত্রে সালভো মোডে মাত্র ২ সেকেন্ডের মধ্যেই পরপর ২টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করেছে চার-চারটি রকেটই। ২.৫ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে আসা ক্ষুদ্র আকৃতির ড্রোন চিহ্নিত করতে পারে এই ভার্গবাস্ত্র।৫০০০ মিটার উচ্চতা সম্পন্ন এলাকায় যেমন ব্যবহার করা যাবে, তেমনই ভার্গবাস্ত্র কাজ করবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরে যেকোনও জায়গায়। এই সিস্টেমের র্যাডার ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার দূর থেকেই আকাশপথে আসা কোনও ক্ষুদ্র বিপদের সম্ভাবনাও চিহ্নিত করতে পারে।
আরও দেখুন