‘এক দেশ এক ভোট’-এর পক্ষে ও বিরোধিতায় কতগুলি দল? প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে বিল?

Estimated read time 1 min read
0 0
Listen to this article
Read Time:4 Minute, 4 Second


নয়াদিল্লি : বৃহত্তর আলোচনার জন্য ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠাতে রাজি ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং তা বলেছেন। লোকসভায় একথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিরোধীদের আপত্তির আবহেই এদিন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল পেশ করেন। দুটি বিল পেশ করা হয়। একটি হল, সংবিধান (১২৯তম সংশোধনী) বিল ২০২৪ ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী) বিল ২০২৪। পর পর নির্বাচনের ব্যবস্থার জন্য এই উদ্যোগ। বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ২৬৯টি এবং বিপক্ষে ১৯৮টি।

এরপর লোকসভায় অমিত শাহ বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কাছে যখন এক দেশ এক ভোট বিল এসেছিল, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন এটি সংসদের যৌথ কমিটির কাছে উল্লেখ করা উচিত। এনিয়ে প্রত্যেক স্তরে বিস্তারিত আলোচনা হওয়া উচিত।”

এদিন এই বিল সংসদে পেশ হতেই বিরোধীদের তরফে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। বিরোধী শিবির থেকে এর বিরোধিতায় নেতৃত্ব দেন NCP-র সুপ্রিয়া শূলে, কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারি, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টির ধর্মেন্দ্র যাদব ও DMK-র টিআর বালু। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারির বক্তব্য, “এই বিল সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেই চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।” অন্যদিকে, অখিলেশ যাদবের তরফে এই বিলের বিরোধিতা করেন সপা সাংসদ ধর্মেন্দ্র যাদব। বিজেপি সরকার একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। তিনি বলেন, “এই বিল ভারতে বৈচিত্র্য এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকেই শেষ করে দেবে।”

যদিও বিরোধী শিবির থেকে তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর জবাব, “এক দেশ এক ভোট নিয়ে বিরোধীদের আপত্তি প্রকৃতিগতভাবে রাজনৈতিক।”

অর্থাৎ, মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ হওয়া ‘এক দেশ এক ভোট’ বিলই এখন বিজেপি ও তার শরিক দলের সঙ্গে I.N.D.I.A ব্লকের বিবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে। যেখানে শরিক দলগুলিকে নিয়ে এই বিল এগিয়ে নিয়ে যেতে মরিয়া গেরুয়া শিবির, সেখানে কংগ্রেস, শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টি-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল এর তীব্র বিরোধিতা করছে। সংখ্যার বিচারে দেখলে, ৩২টি দল যেখানে এক দেশ এক ভোট-কে সমর্থন জানাচ্ছে, সেখানে ১৫টি দল এর বিরোধিতায় সরব। এই বিল লোকসভার পাশাপাশি রাজ্য বিধানসভাগুলির একযোগে নির্বাচন করতে সক্ষম করবে বলে এর পাশে দাঁড়িয়েছে জগনমোহন রেড্ডির YSRCPও।

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে

আরও দেখুন



Source link

About Post Author

JagoronBarta

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
JagoronBarta http://www.jagoronbarta.com

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

You May Also Like

More From Author

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *