জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টানা ৩ দিন ঘন ধোঁয়াশায় ঢুবে রয়েছে রাজধানী। ইতিমধ্য়েই স্কুল বন্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের গাড়ি রাজধানীতে ঢোকার ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা এআইকিউ গিয়ে দাঁড়াল ৪৮৮। কিন্তু রাজধানীর এই ভয়ংকর দুষণের কারণ কী? প্রায়শই শোনা যায় দিল্লি দূষণের মূল কারণ পঞ্জাব ও হরিয়ানার চাষিদের খড় পোড়ানো। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে অন্য কারণ।
আরও পড়ুন-দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে বেরিয়ে সোজা বাঁকুড়া, ডোমজুড়ের নাবালিকার রহস্যমৃত্যুতে গ্রেফতার প্রেমিক-বাবা
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্য়ান্ড ক্লিন এয়ার বা সিআরইএ-র সমীক্ষা অনুযায়ী দিল্লি এনসিআর এলাকায় তাপ বিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলি যে দূষণ ছড়ায় তা চাষিদের খড় পোড়ানোর থেকে ১৬ গুন বেশি। চাষিদের ৮৯০ লাখ টন খড় পোড়ানোর ফলে ১৭.৮ কিলোটন দূষণ ছড়ায়। ২০২২ সালের জুন মাস থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত দিল্লি এনসিআরের তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলি ২৮১ কিলোটন সালফার ডাই অক্সাইড তৈরি করেছে।
দিল্লি দূষণের মূল কারণ সালফার ডাই অক্সাইড। আর তাতে বেশি অবদান রয়েছে তাপ বিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলির। শীতে বাতাস ঠান্ডা হয়েছে। আর বাতাসের প্রবাহও কম। এতেই দূষিত বাতাস সরে যাওয়ার সুযোগ অনেকটাই কম করে দিয়েছে। অর্থাত্ শহরের মধ্যেই আটকে থাকছে দূষিত বাতাস।
এদিকে, শহরের পরিস্থিতি বিচার করে একাধিক পদক্ষেপ করেছে দিল্লি সরকার। দূষণ আটকানোর জন্য শহরে ট্রাক ঢোক নিষিদ্ধ করেছে সরকার। পাশাপাশি সব বেসরকারি নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার যেসব ব্যবস্থা
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাক শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
গুরুত্বপূর্ণ নয় দিল্লির বাইরের এমন হালকা গাড়ি শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে ছাড় দেওয়া হয়েছে সিএনজি ও বিএস ৬ ডিজেল গাড়িকে।
বেসরকারি সব নির্মাণ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রাখতে হবে হাইওয়ে, রাস্তা, ফ্লাইওভার, বিদ্য়ুত লাইন, জলের লাইন বসানোর কাজ।
সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরা রেখে বাকীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।
সোমবার থেকে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণি ছাড়া বাকী স্কুল পড়ুয়াদের ক্লাস বাতিল করতে স্কুলগুলিকে বলা হয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)