শিলিগুড়ি: এক ছাত্রকে শোকজের প্রতিবাদে উত্তেজনা ছড়াল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। ক্যাম্পাসেই বেধে গেল পড়ুয়াদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের গাড়ি ঘেরাও করল পড়ুয়াদের একাংশ। শেষমেশ পুলিশি সহযোগিতায় ক্যাম্পাস ছাড়েন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
গাড়ির ভিতরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। যিনি আবার ওই কলেজের ডিন-ও। সেই গাড়ি ঘেরাও করলেন পড়ুয়াদের একাংশ। বিক্ষোভরত এক ছাত্র উঠে পড়লেন গাড়ির বনেটে। এক ছাত্রকে শোকজের প্রতিবাদে, এমনই ছবি উঠে এল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। ক্যাম্পাসেই বাধল পড়ুয়াদের দুই গোষ্ঠীর।ফের উঠে এল সেই থ্রেট কালচারের প্রসঙ্গ। অভিযোগ গত রবিবার, অনুমতি ছাড়াই, কলেজের সেমিনার রুমে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেখানোর ব্যবস্থা করে পড়ুয়াদের
একটি গোষ্ঠী। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ডিন অনুপম নাথ গুপ্ত বলেন, “আমি বললাম, লেকচার থিয়েটার শুধু অ্যাকাডেমিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হল, খেলা দেখাটা তো অ্যাকাডেমিক পার্ট নেই। স্ট্রেস রিলিফের জন্য ওঁরা খেলুক না, আরও জায়গা তো আছে কলেজে। সানিকে আমি জানতে চেয়েছি যে সানি তুমি এটা কার অনুমতিতে খুলেছ।”
সেই ঘটনার সূত্র ধরে, মঙ্গলবার শোকজ করা হয় সানি মান্না নামে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের এক ইন্টার্নকে। কিন্তু, কেন এই পদক্ষেপ? সেই প্রশ্ন তুলে, বুধবার পাল্টা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় সানির দলবল। সানি মান্নার কথায়, “ফ্যাকাল্টির আন্ডারে, স্যারের সই আছে, যে চাবি তোলা হয়েছে, সকাল বেলা এসে দেখলাম আমার নামে এরকম একটা শোকজের লেটার বেরিয়েছে, হঠাৎ করে সানি মান্নার নামটা কেন এল? অন্য কারোর নামটা কেন এল?ফাঁসানো হচ্ছে।”
এরপর, ঘর থেকে বেরনোর জন্য পড়ুয়াদের আরেক গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তাদের সহযোগিতায় গাড়ি পর্যন্ত আসতে পারলেও, সেখানেও শুরু হয় আরেকপ্রস্থ ঝামেলা। দুই পক্ষের মারামারি থেকে হাতাহাতি বাদ যায়নি কিছুই। জেনারেল সার্জারি বিভাগের হাউসস্টাফ সাহাদত ইসলাম বলেন, “ওঁর নিজের গাড়ি ভাঙতে গিয়ে ওঁর হাতটা কেটে গিয়েছে, ডিন ম্যামের গাড়ি ভাঙতে গিয়ে। ঘুষি মারলে কেউ হাত কাটে নাকি? সানি তুই করছিস সানি। তোর সঙ্গে ব্যক্তিগত কিছু নেই, কিন্তু রিভেঞ্জের মোডে আছিস।” এই ঘটনা প্রসঙ্গে শোকজের মুখে পড়া ছাত্রদের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের অপর অংশের মুখে উঠে এসেছে থ্রেট কালচারের অভিযোগও। সাহাদতের অভিযোগ, “ওঁরা তো গুন্ডামি করছে। এর আগেও ওঁরা এটাই করে এসছে। এদের নামে এত থ্রেট কালচারের অভিযোগ ছিল, প্রতিবাদে বাধা পর্যন্ত দিয়েছিল।” এদিন দীর্ঘক্ষণ গাড়ির ভিতরে বন্দি থাকার পর অবশেষে, বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হন ভারপ্রাপ্ত অধ্য়ক্ষ। সেই বৈঠকেও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। শেষমেশ পুলিশ ডাকতে বাধ্য হন ভারপ্রাপ্ত অধ্য়ক্ষ। তারপর পুলিশি সহযোগিতায় তিনি ক্যাম্পাস ছাড়েন।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: “৪ বছরেও হারের জ্বালা ভুলতে পারেননি…ভবানীপুরেও হারাব” মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
আরও দেখুন
+ There are no comments
Add yours