ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, বরানগর: বাবাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করল ছেলে (Baranagar Police Station)। উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরে হাড়হিম করা ঘটনা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কী কারণে এমন বীভৎস কাণ্ড ঘটালেন তিনি? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ ছেলের: শিশিরকুমার দাঁ রোডের এই বাড়িতে থাকতেন ৭৪ বছরের ললিত অধিকারী ও তাঁর ছেলে গৌতম। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সকালে বরানগর থানায় গিয়ে ৫৪ বছরের গৌতম জানান, মঙ্গলবার রাত তিনটে নাগাদ বালিশ চাপা শ্বাসরোধ করে ঘুমন্ত বাবাকে তিনি খুন করেছেন। গৌতমের কথা শুনে চমকে উঠেছিলেন বরানগর থানার পুলিশ অফিসারও। সামনে দাঁড়ানো ব্য়ক্তি তখনও নির্বিকার। তাঁর কথা মতো এই বাড়িতে পৌঁছে পুলিশকর্মীরা দেখেন, সত্য়িই সেখানে পড়ে রয়েছে এক বৃদ্ধের মৃতদেহ। অভিযুক্ত গৌতম অধিকারীকে গ্রেফতার করেছে বরানগর থানা। কী কারণে সে এমন বীভৎস কাণ্ড ঘটাল? ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এদিন অভিযুক্তর দিদি বলেন, “কেন খুন করেছে কী জানি, কিছুই বুঝতে পারছি না।”
দিনকয়েক আগে বেহালায় সোনার গয়না নিয়ে বিবাদের জেরে মারধরে মৃত্যু হয় রাজস্থানের বাসিন্দার। মৃতের নাম মহেন্দ্র সিংহ। বেহালায় রাস্তার ওপর থেকে আহত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় একজনের। ঘটনার সূত্রপাত হয় ২১ জুন রাতে। রাত দেড়টা নাগাদ, বেহালার ননীগোপাল সাহা রোডের ওপর থেকে আহত অবস্থায় দীপক সিং নামে এক জনকে উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি পুলিশকে জানান, তাঁর সঙ্গে থাকা মহেন্দ্র সিং নামে আরও একজনকে মারধর করা হয়েছে। এরপর বড়িশার মহাত্মা গান্ধী রোড থেকে মহেন্দ্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুুলিশ। ২ জনকেই বেহালার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে মহেন্দ্রর মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর, সোনা কেনাবেচার কাজ করেন এই ২ ব্যবসায়ী। বেহালার এক সোনার ব্যবসায়ী তাঁদের কাছ থেকে সোনা কিনেছিলেন। পরে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে গন্ডগোল বাধে। সেই বিবাদের জেরে ২ জনকে ডেকে এনে এরপর মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।