NOW READING:
জ্বলন্ত চিতায় বৃদ্ধা, পাশেই DJ বাজিয়ে দেদার নাচ আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের; নেটমাধ্যমে ঝড়
December 31, 2024

জ্বলন্ত চিতায় বৃদ্ধা, পাশেই DJ বাজিয়ে দেদার নাচ আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের; নেটমাধ্যমে ঝড়

জ্বলন্ত চিতায় বৃদ্ধা, পাশেই DJ বাজিয়ে দেদার নাচ আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের; নেটমাধ্যমে ঝড়
Listen to this article



<p><strong>সমীরণ পাল, অশোকনগর : </strong>আগেও এধরনের ঘটনা দেখা গেছে। ফের একবার তার পুনরাবৃত্তি হল। ১০২ বছরের এক বৃদ্ধার মৃত্যুর পরে রীতিমতো DJ চালিয়ে জ্বলন্ত চিতার পাশেই নাচ করলেন তাঁর আত্মীয় পরিজন ও প্রতিবেশীরা। অশোকনগর থানার গুমা শ্মশানের এই অমানবিক দৃশ্য ঘিরে ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এনিয়ে হাবরা ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রবীর মজুমদার ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট করেছেন সামাজিক মাধ্যমে। প্রবীরবাবুর বক্তব্য, মানুষ অনেক অমানবিক হয়ে যাচ্ছেন। বাবা-মা-ঠাকুমা কারো প্রতি সেই টান আর নেই এই প্রজন্মের। এই ঘটনায় তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানান।</p>
<p>গুমা আদর্শ পল্লির বাসিন্দা এই বৃদ্ধার নাম রাজুবালা দেবী। এক প্রতিবেশী জানান, রাজুবালা দেবী মারা যাওয়ার পরে তাঁর আত্মীয় পরিজন ও প্রতিবেশীরা আনন্দে ডিজে বাজিয়ে উদযাপন করছেন। গুমা শ্মশানের এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে।</p>
<p><strong>আগেও এই ঘটনা</strong></p>
<p>২০২২ সালের অগাস্ট মাসে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে। ১০০ বছর পার করে ‘দাদুর মৃত্যু’। বৃদ্ধের শেষ ইচ্ছে রাখতে একেবারে অন্যভাবে পালন করা হয় শেষকৃত্য। শোকের আবহে আনন্দের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে হাবরায়।</p>
<p>শতায়ু বৃদ্ধের প্রয়াণে ডিজে বাজিয়ে নাচ করতে দেখা যায় গোটা গ্রামকে। পুরুষ মহিলা-সহ বয়স্ক প্রতিবেশীরাও গানের তালে কোমর দোলান। শোক ভুলে গোটা গ্রাম মেতে ওঠে উৎসবের মেজাজে। শেষকৃত্যেও চলে ডিজে, তাসা বাজিয়ে নাচ। সাময়িকভাবে শোক দেখা গেলেও পরবর্তীতে নাতি নাতনি-সহ পরিবারের সদস্যরাও অংশ নেন ডিজে যাত্রায়। দাদুর ইচ্ছে অনুযায়ী, আনন্দের আবহে সম্পন্ন হয় শেষযাত্রা। এমনকী মৃতদেহ কাধে তুলেও চলে নাচ।&nbsp;</p>
<p>বৃদ্ধের মৃত্যুতে তাসা, ডিজে বাজিয়ে শেষকৃত্যে নামে ছোটরা। শতবর্ষ পেরিয়ে মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা থানার দেবেন হাজরার। তাঁর শেষকৃত্যের সময় পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখা যায় ডিজের তালে মেতে উঠতে। ডিজে বক্সের সঙ্গে ছিল খোল করতাল।</p>
<p>বাংলার ১৩১০ সালে জন্মগ্রহণ করেন এই দেবেন হাজরা। মৃত্যু হয় ১৪২৯ সালে। সেই হিসেবে ১১৯ বছর বয়স হয়েছিল দেবেনবাবুর। যদিও বৃদ্ধের বয়সের সেভাবে কোনও প্রামাণ্য নথি পাওয়া যায়নি পরিবারের কাছে। স্থানীয়রা জানান, দেবেন হাজরা যাত্রা ভালোবাসতেন। স্থানীয়দের যাত্রা শেখাতেন তিনি। টিভি , সোশ্যাল মিডিয়া তখন ভাবনার অতীত, সেই সময় যাত্রা নিয়েই বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন। যাত্রার দৌলতে পরিচিতি পেয়েছিলেন যাত্রাগুরু হিসেবে। তাই গুরুর মৃত্যুতে ভিড় জমান প্রায় হাজার মানুষ।&nbsp;</p>



Source link