জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অতুল, মানবের পর ফের এক স্ত্রী-র অত্যাচারের বলি! ফাইভ স্টার হোটেলের বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় নিশান্তের ঝুলন্ত দেহ। চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিশান্ত তাঁর স্ত্রী এবং মাসি-শাশুড়িকে ঘটনার জন্য দায়ী করে যান। সুইসাইড নোটটি তিনি তাঁর কোম্পানির ওয়েবসাইটে আপলোড করে রেখে যান।
জানা গিয়েছে, ২৮ ফেব্রুয়ারি নিশান্ত নিজের হোটেল রুমের দরজায় ‘Do Not Disturb’ সাইন ঝুলিয়ে দেয়। তারপর বাথরুমে গিয় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্য়া করে। দীর্ঘ সময় ধরে নিশান্তের কোনও খোঁজ না পাওয়ায় হোটেলকর্মীরা মাস্টার চাবি নিয়ে তার রুমের দরজা খোলে। এবং বাথরুমে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় এয়ারপোর্ট পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
ঘটনার তদন্তে পুলিস সুইসাইড নোটটি উদ্ধার করে। যেটা নিশান্ত তাঁর কোম্পানির ওয়েবসাইটে আপলোড করে রেখেছিলেন। এবং সেটি একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করা ছিল। সুইসাইড নোটে নিশান্ত তাঁর স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা ব্যক্ত করেন। তার পাশাপাশি আত্মহত্যার জন্য তাঁকে দায়ী করেন।
আরও পড়ুন:Bihar Shocker: মাটিতে দুই পা গাঁথা পেরেক দিয়ে, হাইওয়ের ধারে গণলালসার বলি যুবতী…
সুইসাইড নোটে লেখা, ‘যতক্ষণ এটা তুমি পড়বে, ততক্ষণে আমি চলে যাব। শেষ পর্যায়ে যা ঘটেছিল, তার জন্য আমি তোমাকে ঘৃণা করতে পারতাম। কিন্তু সেটা আমি করতে পারিনি। আমি তোমাকে আগেও ভালোবাসতাম, এখনও ভালোবাসি। যেমনটা আমি তোমাকে প্রমিস করেছিলাম। তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা কোনওদিন ফুরিয়ে যাবে না। আমার মা জানে যে আমি কতটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমার মৃত্যুর জন্য তুমি এবং তোমার প্রার্থনা মাসি দায়ী। তাই আমি তোমার পায়ে পড়ছি, এখন আর আমার মায়ের কাছে যেও না। তিনি এখন ভেঙে পড়েছেন।’
পুলিস সূত্রের খবর, নিশান্ত তাঁর মৃত্যুর তিন দিন আগে একটি হোটেল রুম বুক করেছিলেন। ঘটনার দিন রুমের দরজায় ‘Do Not Disturb’ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। ছেলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন মা। নিশান্তের মা নীলম চতুর্বেদী, যিনি একজন সমাজকর্মী, পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। ৩ মার্চ নিশান্তের মা ৩৬ বছর বয়সী স্ত্রী অপূর্ব পারিক এবং ৫০ বছর বয়সী তাঁর মাস প্রার্থনা আর্যর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। পুলিস ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১০৮ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) এর অধীনে মামলাটি দায়ের করেছে। পুলিশ মামলাটির তদন্ত শুরু করেছে এবং এখন মৃত ব্যক্তি মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন নাকি আসলেই কোনও ধরণের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তা নির্ধারণ করার চেষ্টা করছে।
নিশান্তের মা জানিয়েছেন, নিশান্ত ভিরারে থাকতেন। স্ত্রীর উপর বিরক্ত হয়ে তিনি সাহারা স্টার হোটেলে থাকতেন। গত তিন দিন ধরে নিশান্ত সেখানেই ছিলেন।
Disclaimer: আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ…
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
+ There are no comments
Add yours