সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: ফের একবার কলকাতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। শনিবার ভোররাতে নিমতলা ঘাট (Nimtala Fire) সংলগ্নসংলগ্ন মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডে কাঠের গোলায় আগুন। ভস্মীভূত অন্তত পাঁচটি কাঠের গোলা। রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফুটলেও এখনও বদলায়নি পরিস্থিতি। পাঁচ ঘণ্টার অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও জ্বলছে আগুন।
বিধ্বংসী আগুনে অন্তত ১৭টি পরিবার সর্বশান্ত। পুড়ে ছাই তাঁদের বাড়ি, ঘর। রাত দেড়টা নাগাদ আগুন লাগে বলে অনুমান করা হচ্ছে। একের পর এক বিস্ফোরণের আওয়াজে স্থানীয়রা বেরিয়ে আসেন বাইরে। এখনও আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা না গেলেও, স্থানীয়দের অনুমান রান্নার গ্য়াস সিলিন্ডার ফেটেই এই আগুন লাগে। এলাকায় রয়েছে একাধিক কাঠের গোলা। গঙ্গার হাওয়া এবং দাহ্য পর্দাথের উপস্থিতিতে হু হু করে বাড়ছে আগুন। সেই আগুন নেভানোর কাজে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে ঘিঞ্জি এলাকায় এখনও আগুন নেভানো সম্ভব তো হয়ইনি, বরং সেই আগুন সংলগ্ন বাড়িগুলিতেও ছড়িয়ে পড়ছে। আতঙ্কে স্থানীয়রা।
পুরনো কলকাতার ঘিঞ্জি এলাকায় রয়েছে প্রচুর বাড়ি। রয়েছে ইলেকট্রিক তারও। আগুনের লেলিহান শিখা সেই তারের সংস্পর্শে এলে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। আগুন নেভানোর কাজে দমকল কর্মীদের সঙ্গে তাই স্থানীয়রাও হাত লাগিয়েছেন। এই অঞ্চলে এমন আগুন লাগার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগে একাধিকবার এই নিমতলা ঘাট সংলগ্ন কাঠের গোলায় আগুন লেগেছে। গত বছরেও প্রায় একই এলাকাতেই এক বাড়িতে আগুন লাগে সেখান থেকেও আশেপাশের কাঠের গোলাসহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে লেগেছিল। এ যেন একেবারে হুবহু তার প্রতিচ্ছবি।
সময় বদলালেও যে পরিস্থিতি বদলায়নি, তা শনিবারের মধ্যরাতের আগুন ফের একবার প্রমাণ করে দিল। দাবি করা হচ্ছে এই এলাকায় আগুন নেভানোর জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। এর আগেও এই বিষয়ে সতর্ক করা হলেও, তাতে কর্ণপাত করেননি। ফলে ফের একবার তাঁর খেসারত দিতে হল। ঘটনাস্থলে মধ্যরাতেই পৌঁছেছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। ভোরে পৌঁছলেন শশী পাঁজাও। রয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলারও। ঘটনায় কোনও প্রাণহানির খবর না থাকলেও, সবকিছু হারিয়ে স্থানীয়দের আর্তনাদ।
আরও পড়ুন: কার্তিক ফেলে পুরসভার প্যাডে টাকা দাবি করে চিঠি TMC কাউন্সিলরের ! তোলাবাজির অভিযোগ ঘিরে শোরগোল বৈদ্যবাটিতে
আরও দেখুন