NOW READING:
মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিস স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার !
April 10, 2025

মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিস স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার !

মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিস স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার !
Listen to this article


দীপক ঘোষ, কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি নোটিস। ‘আত্মদীপ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে নোটিস পাঠানো হয়েছে। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে নোটিস পাঠিয়েছেন আইনজীবী সিদ্ধার্থ দত্ত। আদালত অবমাননার অভিযোগ করা হয়েছে তাতে। চাকরিহারাদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে অগ্রাহ্য করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে নোটিসে। তাতে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। নাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ চেয়ে আদালতে যাওয়া হবে। যদিও, ‘মুখ্যমন্ত্রী বিচারব্যবস্থায় সম্পূর্ণ আস্থা রাখেন। বিচারপতিদের সম্মান দেন। কিন্তু কোনো রায়ে ন্যায়বিচার না হলে বা বহু মানুষের ক্ষতি হলে, সেই অংশ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে পুনর্বিবেচনার কথা বলেন’, বলে পাল্টা পোস্ট করেন কুণাল ঘোষ।

বিস্তারিত…

চাকরিহারাদের নিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে গত ৭ তারিখে সভা হয়। সেই সভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে। সংস্থার পক্ষ থেকে আইনজীবী সিদ্ধার্থ দত্ত আইনি নোটিস পাঠিয়ে বলেছেন, চাকরিহারাদের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন, তা সরাসরি আদালত অবমাননার শামিল। তিনি তাঁর বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছেন। যেটা কখনোই কাম্য নয়। তিনি সংবিধানের উল্লেখ করেছেন। যেখানে ১৪১ এবং ১৪২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, আদালতের রায় কার্যকর করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এর অন্যথা হলে সেটা আদালত অবমাননার শামিল।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য কোট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘কারো চাকরি কাড়ার এই অধিকার কারো নেই।’ তিনি বলছেন, আমাদের প্ল্যান এ রেডি, বি রেডি, সি রেডি, ডি রেডি, ই রেডি। এই কথা বলার জন্য আমাকে জেলে ভরে দেওয়া হতে পারে। কিন্তু, আই ডোন্ট কেয়ার। আপনারা আপনাদের কাজ করুন। কে আপনাদের আটকাচ্ছে ? সুপ্রিম কোর্ট ? সেক্ষেত্রে মনে রাখবেন যাইহোক বিকল্প হোক…আমরা একটা করবই। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার একটা চক্রান্ত চলছে। একটা পরিকল্পনা চলছে। 

এর উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এটা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে। যেটা কখনোই কাম্য নয়। সংবিধানের বিরোধী এবং আদালত অবমাননার শামিল। নোটিসে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের যে অবমাননা হয়েছে এরজন্য তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। গত ৭ তারিখে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। আদালত নির্দেশিত রায় কার্যকর করতে হবে। এ ব্যাপারে যে বিভ্রান্ত তৈরি দূর করতে যথাযথ পদক্ষেপ করতে হবে। যদি সেটা না হয় সেক্ষেত্রে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন।

আরও দেখুন



Source link