Bangladesh: পালটেছে অনেক কিছুই, এবার বদলের বাংলাদেশে নতুন নির্বাচন পদ্ধতি!

Estimated read time 1 min read
Listen to this article


সেলিম রেজা,ঢাকা: বদলে যাওয়া বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থেকে সম্প্রতি ঘোষণা করেছে আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যেই বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা আলোচনা উঠেছে নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তনের। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, সিপিবি, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদের মতো বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একে সমর্থন করছে। অন্যদিকে শুরু থেকেই এর বিরোধিতায় আছে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি।

আনুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে-বিপক্ষে রাজনৈতিক দলগুলির যে অবস্থান সেখানে রাজনীতি তো বটেই, ভোটের নানা সমীকরণও মেলাচ্ছেন অনেকে। আলোচনা আছে নতুন পদ্ধতিতে যদি নির্বাচন হয় তাহলে সেটা কোন রাজনৈতিক দলকে লাভবান করবে, আর কোন দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশে এখন যে প্রচলিত নির্বাচন সেখানে ৩০০ আসনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী থাকে। ভোটারদের ভোটে তারা সরাসরি নির্বাচিত হন।

কিন্তু এই ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে এখন মতামত দেওয়া হচ্ছে আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু করার। যেখানে সারা বাংলাদেশে একটা রাজনৈতিক দল যতো ভোট পাবে, তার আনুপাতিক হারেই নির্ধারিত হবে সংসদে ওই দলটি কত আসন পাবে।
অর্থাৎ এখানে সরাসরি জনগনের ভোটে কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হবেন না। কোনো একটি দল যদি শতকরা ৪০ শতাংশ ভোট পায় তাহলে সংসদে তার আসন হবে ১০০ আসনের মধ্যে ৪০টি। কিন্তু আনুপাতিক এই নির্বাচন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কী আলোচনা হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে?

বাংলাদেশে অতীতে প্রচলিত সংসদীয় পদ্ধতির নির্বাচনে এর সুফল পেয়েছে প্রধানত বড় দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। নির্বাচনগুলিতে জয়-পরাজয়ের ভিত্তিতে আসন ভাগাভাগি হওয়ায় যে দল বিজয়ী হয়েছে, তারাই সংসদের বেশির ভাগ আসন পেয়েছে। কিন্তু অনেক আসনেই দেখা যায় জয়ী আর পরাজিত প্রার্থীর ব্যবধান খুবই কম। বাংলাদেশে নব্বইয়ের দশক থেকে সংসদীয় পদ্ধতি চালুর পর ২০০৮ পর্যন্ত চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, প্রধান দুটি বড় রাজনৈতিক দল তাদের ভোটের হারের তুলনায় আসন বেশি পেয়েছে। এটা বেশি ঘটেছে বিজয়ী দলের ঘরে।

আরও পড়ুন:UP Shocker: হাড়হিম ‍১ জানুয়ারি! মা-সহ ৪ বোনকে নৃশংস খুন ছেলের…

সম্প্রতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আনুপাতিক নির্বাচনের প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রসংস্কারের নানা রূপরেখা তুলে ধরার সময় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার করে আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা আছে যে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে জামায়াতের জোট বাস্তবে রূপ নিলে সেটা নতুন এই জোটকে রাজনীতি তো বটেই নির্বাচনী মাঠেও সুবিধা দেবে। বাংলাদেশে এমন কিছু রাজনৈতিক দল আছে যাদের ভোট সারা বাংলাদেশে খুব একটা নেই। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো আসনে জনপ্রিয়তা থাকায় অতীতে তাদের অনেকেই এক বা একাধিক আসনে বিজয়ী হয়েছে। কিন্তু আনুপাতিক ভোটে আবার এসব রাজনৈতিক দল শতাংশের হিসাবে ন্যূনতম ভোট না পেলে হারিয়ে যাবার শংকাও রয়েছে।

তবে ছোট রাজনৈতিক দলগুলো চাইলেও বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি আবার আনুপাতিক নির্বাচনের বিরোধী। বাংলাদেশে এর আগে তিনবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দেশ চালিয়েছে বিএনপি। দলটির ভেতরে মূল্যায়ন হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবারো তারা জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসবে।বাংলাদেশের বাস্তবতায় সারা বাংলাদেশেই বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো আছে, সমর্থন আছে, ভোটও আছে। বাংলাদেশে একটা বড় ভোট ব্যাংক রয়েছে আওয়ামী লীগের। এই ভোট ব্যাংক আনুপাতিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে লাভবান করবে- অনেকেই এমনটা মনে করলেও দলটি আদৌ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি-না সেটা একটা বড় প্রশ্ন।

সবমিলিয়ে বলা যায়, আনুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতই পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে যেমন ব্যপক ঐকমত্য তৈরি হয়নি, তেমনি যাচাই হয়নি ভোটারদের মনোভাব। আবার অন্তবর্তীকালীন একটি সরকার নতুন একটি নির্বাচন পদ্ধতি চালু করতে আদৌ আগ্রহী হবে কি-না, সেটাও স্পষ্ট নয়।

 

 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

JagoronBarta http://www.jagoronbarta.com

জাগরণ বার্তা হল একটি অগ্রণী অনলাইন সংবাদ পোর্টাল যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে নিরপেক্ষ, সঠিক এবং সময়োপযোগী সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিবেদিত। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা বাংলার প্রকৃত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours