NOW READING:
নন্দীগ্রামে TMC-র বুথ সভাপতির ভাই ‘খুনে’ ধৃত ৩ BJP কর্মী ! শুভেন্দুর মুখে কেন ‘ধনঞ্জয়ের’ নাম ?
December 11, 2024

নন্দীগ্রামে TMC-র বুথ সভাপতির ভাই ‘খুনে’ ধৃত ৩ BJP কর্মী ! শুভেন্দুর মুখে কেন ‘ধনঞ্জয়ের’ নাম ?

নন্দীগ্রামে TMC-র বুথ সভাপতির ভাই ‘খুনে’ ধৃত ৩ BJP কর্মী ! শুভেন্দুর মুখে কেন ‘ধনঞ্জয়ের’ নাম ?
Listen to this article


পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতির ভাইকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ বিজেপি কর্মী। প্রায় ৩০ জন বিজেপি নেতা-কর্মীর নামে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে নন্দীগ্রাম থানায় ডেপুটেশন কর্মসূচির ডাক শুভেন্দুর। রবিবার তমলুক সমবায় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্কের নির্বাচন ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নন্দীগ্রাম। তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। সমবায় ভোটের ফল ঘোষণার পর, খুন করা হয় তৃণমূলের বুথ সভাপতির ভাই বিষ্ণুুপদকে।

রবিবার নন্দীগ্রাম সমবায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তুমুল হট্টগোলের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। নন্দীগ্রামে বুথ সভাপতির ভাইকো খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ বিজেপি কর্মী। নন্দীগ্রামে গিয়ে এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’আপনারা লোকসভা ভোটে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে জিতিয়ে দিয়েছেন। তারপর মুখ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েতে ১৭ টির মধ্যে ১১ টি প্রধান দিয়েছেন। দুটো পঞ্চায়েত সমিতি দিয়েছেন। গত ৬ মাসের মধ্যে ১২ টি সমবায়ের ভোট হয়েছে। ৯টাতে জিতিয়ে দিয়েছেন আপনারা। ‘

এরপরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একহাত নেন শাসকদলকে। বলেন, ভাগাড়ে যেমন মৃত জন্তু থাকলে, উপর থেকে শকুন নামে, এখানকার তোলামূল ও মমতার অবস্থাও তাই হয়েছে। পারিবারিক বিরোধে মারা গিয়েছে। হেরে গেছে। পুলিশকে চাপ দিয়ে ৩০ জন বিজেপি নেতা-কর্মীর নামে ফের দ্বিতীয় FIR হয়েছে।’ শুভেন্দুর সংযোজন, ‘ধনঞ্জয় থেকে শুরু করে আমি অসংখ্য নাম এরকম বলতে পারি, যাদের বিরুদ্ধে এই ধরণের মিথ্যে মামলা, মমতার নির্দেশে করেছে মমতার চটি চাটা পুলিশ। ‘ 

আরও পড়ুন, ইসকনের ভক্ত হওয়ায় হুমকি বাংলাদেশে, অত্যাচারের ভয়ে এপারে পালিয়ে এল এক নাবালিকা !

মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব মেদিনীপুর  সফরের আগেরদিন নন্দীগ্রামে খুন হন তৃণমূলকর্মী।রবিবার সমবায় ভোটকে কেন্দ্র করে দিনভর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম। ভোট চলাকালীন বিজেপি-তৃণমূল সংঘাতের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল। লাঠি -বাঁশ নিয়ে মারপিটের পাশাপাশি  বোমাবাজিও হয়েছিল।   বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছিল। এক তৃণমূল কর্মীর ছাতিতে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে বিজেপি ,এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছিল।  যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি। এরপরে বিষ্ণুপদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 

 

 

আরও দেখুন



Source link