<p><strong>সুজিত মণ্ডল ও রাজা চট্টোপাধ্যায়, শান্তিপুর ও ধূপগুড়ি :</strong> বাজ পড়ে পৃথক জেলায় তিনজনের মৃত্যু ও চারজন আহত হয়েছেন। নদিয়ার শান্তিপুর ও জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ঘটনা।&nbsp;</p>
<p>নদিয়ার শান্তিপুরে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুইজন, গুরুতর আহত হয়েছেন আরও এক জন। বৃহস্পতিবার বিকালে শান্তিপুরের সূত্রাগড় ১০ নম্বর ওয়ার্ডের খুদে কালীতলার কাছে মুচিপাড়া লেন এলাকায় ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মৃতদের নাম – বাবাই ঘোষ ও কাশী দাস। আহত পাগলা সাধুখাঁ বর্তমানে &nbsp;নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।&nbsp;</p>
<p>গতকাল বিকালের দিকে হঠাৎ বৃষ্টি নামলে তিনজনেই আশ্রয় নেন এলাকার একটি কালীমন্দিরের পাশে একটি বড় বটগাছের নীচে। সেখানেই আচমকা বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই গুরুতর জখম হন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি তিনজনকে শান্তিপুর স্<a title="টেট" href="https://bengali.abplive.com/topic/tet" data-type="interlinkingkeywords">টেট</a> জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বাবাই ঘোষ ও কাশী দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত পাগলা সাধুখাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতালের সামনে ভিড় জমাতে থাকেন পরিবার-পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা।&nbsp;</p>
<p>অপর ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। সেখানে বাজ পড়ে একজনের মৃত্যু ও তিনজন আহত হয়েছেন। ধূপগুড়ি মহকুমার পশ্চিম মল্লিকপাড়া ময়নাতলী গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম প্রভাত চন্দ্র রায় (৫২)। আহত হন আরও তিনজন। আহতদের মধ্যে বাসন্তী রায় নামে এক মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে রেফার করা হয়েছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।</p>
<p>স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রভাত চন্দ্র রায়-সহ পরিবারের চার সদস্য সবজি খেতে সবজি তুলতে গিয়েছিলেন। সেই সময় বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়। তখনই ফাঁকা মাঠে বজ্রপাত হয়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় প্রভাতের। আহত হন আরও তিনজন। তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে। দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বর্তমানে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।</p>
<p>নির্ধারিত সময়ের ৫ দিন আগেই নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে পা রেখেছে বর্ষা। এর মধ্যেই গতকাল থেকে ঝড় ও বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখীর পরিস্থিতির কথা জানা যায় পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম–এই চার জেলায়। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়। কলকাতায় গরম একই রকম থাকবে বলে জানানো হয়।</p>



Source link