সুজিত মণ্ডল, নদিয়া : ‘কাটমানি’ না পাওয়ার আক্রোশ। সজল ধারা প্রকল্পের বোরিংয়ে সিমেন্ট, পাথর ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে !ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রাণাঘাট-১ ব্লকের হবিবপুর পঞ্চায়েতের দত্তপাড়ায়।
আরও পড়ুন, ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবি, ভাঙা হল পুলিশের ব্যারিকেড ! পার্ক সার্কাসে তুমুল বিক্ষোভ পড়ুয়াদের ..
জানা গিয়েছে, দত্তপাড়া এলাকায় একটি নির্মীয়মান আইসিডিএস সেন্টারের সামনে সজল ধারা প্রকল্পের পানীয় জল পরিশোধন পরিকাঠামো তৈরির টেন্ডার হয়। সেখানেই সবচেয়ে কম খরচে প্রকল্পের টেন্ডার পায় দেবপ্রসাদ বিশ্বাস। তিনি ওই অঞ্চলেরই একজন ঠিকাদার।অভিযোগ, অন্যের নামে ওই প্রকল্পের টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেছিল হবিবপুর পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা বিশ্বাস ঘোষের স্বামী বিনোদ ঘোষ। কিন্তু তিনি টেন্ডার পাননি।
এরপর দেবপ্রসাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ‘কাটমানি’ চান বিনোদ। কিন্তু ওই ঠিকাদার সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্রধানের স্বামী রাতের অন্ধকারে সজল ধারা প্রকল্পের জল তোলার জন্য করা বোরিংয়ে সিমেন্ট এবং পাথর ভরে আটকে দেয় বলে দাবি। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে ওই ঠিকাদার জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, বিডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
যদিও বিষয়টি নিয়ে হবিবপুর পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা বিশ্বাস ঘোষ বলেন, আমি এই ধরনের লিখিত অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখব আদৌ সত্যি কিনা। আমার তরফ থেকে সত্যতা খোঁজার চেষ্টা হবে। তবে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দল বিজেপি। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে রাণাঘাট-১ ব্লকের বিডিও জয়দেব মণ্ডল বলেন, আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।
প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও, কাটমানি নিয়ে অভিযোগ এই প্রথম নয়। ঘরের তালিকায় নাম না থাকায় কাটমানির টাকা ফেরত চাইতে এসে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা এবং তার স্বামী ছেলের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক উপভোক্তা বলে উঠেছিল অভিযোগ ! মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।
যদিও জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ধরণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছিল বিজেপি। সাফাই দিয়েছিল তৃণমূল। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত বড়ই এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। অভিযোগকারী অনিতা কুমারী সাহার অভিযোগ ছিল, ‘তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা শকুন্তলা সাহা, আবাস প্লাস যোজনায় ঘরের টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে, তার স্বামী দুর্গা প্রসাদ সাহার কাছ থেকে একমাস আগে ৩০ হাজার টাকা কাটমানি নেন।’
মূলত ঘরের তালিকাতে দেখতে পেয়েছিলেন তাঁদের নাম নেই। এদিন দুর্গাপ্রসাদ সাহা টাকা ফেরত চাইতে গেলে পঞ্চায়েত সদস্যা তার স্বামী এবং ছেলে মিলে চড়াও হয়েছিল দুর্গাপ্রসাদ বাবুর উপর।চলে বেধড়ক মারধর। এমনকি শ্বাসরোধ করে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ।
আরও দেখুন