<p><strong>সুজিত মণ্ডল, নদিয়া:</strong> ৬ মাসের শিশু সন্তানকে খুন করে নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়ে চুরির গল্প ফাঁদার অভিযোগে গ্রেফতার মা। নদিয়ার কল্যাণী থানার সগুনা অঞ্চলের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ধৃতের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কল্যানী আদালত। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তর মানসিক অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। </p>
<p>৬ মাসের শিশু সন্তানক খুন করে নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে মা রূপা ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, শুক্রবার রাতে আচমকা রূপা অভিযোগ করেন, তাঁর ছয় মাসের শিশুপুত্রকে কেউ ঘর থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে। এরপর এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা। গয়েশপুর ফাঁড়িতে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, রূপাকে জিজ্ঞাসবাদ শুরু হতেই তদন্তকারীদের মনে সন্দেহ তৈরি হয়। শেষমেশ, একের পর এক প্রশ্নের মুখে ভেঙে পড়েন মহিলা। এরপরেই প্রকাশ্য আসে হাড়হিম করা ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে রূপা স্বীকার করেন, ৬ মাসের শিশুপুত্রকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বাড়ির পাশের নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়েছেন। তিনি পুলিশকে নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাঙ্কের কাছে নিয়ে যান। সেখান থেকে উদ্ধার হয় শিশুর নিথর দেহ।<br /><br />তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বছর তিনেক আগে সোমনাথের সঙ্গে বিয়ে হয় রূপার। মহিলার এটি দ্বিতীয় বিবাহ। তবে পরিবারের কোনও অশান্তি ছিল না। তা সত্ত্বেও কেন প্রথম সন্তানকে এভাবে খুন করলেন মা, কেনই বা তিনি শিশু চুরির গল্প ফাঁদলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, খতিয়ে দেখা হচ্ছে অভিযুক্তর মানসিক সুস্থতাও। ধৃতকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কল্যাণী আদালত। </p>
<p>অভিযুক্ত রূপা ঘোষের স্বামী সোমনাথ ঘোষ বলেন, "মাকে জেরা করে., মা বলে ছেলেটা নাকি কাপড় খেয়েছে, কাপড় খেয়ে মরে গেছে, মরে গেছে দেখে ও (অভিযুক্ত) নাকি ফেলে দিয়েছে (নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাঙ্কে)। এখন তো তাই মনে হচ্ছে, ও মেরেছে, নাহলে মারবে কে।” ওই এলাকার বাসিন্দা কমলা ঘোষ বলেন, "পুলিশ এসে মাকেই জেরা করে, (প্রথমে স্বীকার করেনি)। পুলিশ বুঝতে পেরেছে সরষের মধ্যে ভূত আছে। আমরা চাই শাস্তি হোক।”<br /><br /><br /></p>
Source link
সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে চুরির গল্প ফাঁদার অভিযোগ, সন্তান খুনে গ্রেফতার মা
