NOW READING:
‘ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদ করার অধিকার সকলের আছে, কিন্তু…’ জঙ্গিপুর ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া অধীরের
April 8, 2025

‘ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদ করার অধিকার সকলের আছে, কিন্তু…’ জঙ্গিপুর ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া অধীরের

‘ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদ করার অধিকার সকলের আছে, কিন্তু…’ জঙ্গিপুর ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া অধীরের
Listen to this article


রাজীব চৌধুরী, বিটন চক্রবর্তী ও রুমা পাল: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঘিরে রণক্ষেত্র জঙ্গিপুর। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগাল আন্দোলনকারীরা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মন্ত্রিসভারই সদস্য় সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর। কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর দাবি তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। অশান্তির প্রেক্ষিতে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ ও সুতি থানা এলাকায়, মঙ্গলবার সন্ধে ৬টা থেকে, ৪৮ ঘণ্টার জন্য় BNS-এর ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস প্রাক্তন সভাপতি  অধীর চৌধুরী।

আরও পড়ুন, প্রয়োজনে নবান্নের দুয়ারে গিয়ে চিঠি নিয়ে দাঁড়াব, ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে এক্সক্লুসিভ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

দাউদাউ করে জ্বলছে পুলিশের একের পর এক গাড়ি। কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠছে কালো ধোঁয়া। বাজছে সাইরেন। অবরোধ তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ।পুলিশকে লক্ষ্য উড়ে এল ইট।পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হল পুলিশের তরফেও।সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার এভাবেই রণক্ষেত্র হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর। যা মনে করিয়ে দিল ২০২০ সালে মুর্শিদাবাদে CAA-র প্রতিবাদ আন্দোলনের ছবি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আবার পুলিশের গাড়ি জ্বলছে। ১৪ বছর একজনই পুলিশমন্ত্রী, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর দাবি।

প্রদেশ কংগ্রেস প্রাক্তন সভাপতি  অধীর চৌধুরী বলেন,  ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদ করার অধিকার সকলের আছে। শান্তিপূর্ণভাবে সবাই প্রতিবাদ করছে, আমরাও করব। কিন্তু কোনও প্রতিবাদই যেন কোনও সাম্প্রদায়িক রং না নেয়।’ গত সপ্তাহেই লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৫। রাষ্ট্রপতি সই করার পর আইনে পরিণত হয়েছে সংশোধনী বিল। মঙ্গলবার জঙ্গিপুরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর শুরু হয় সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ। ওমরপুরে বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করে ওয়াকফ বিল বিরোধী প্রতিবাদী মঞ্চ। অবরোধ হঠাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। জমায়েত ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে, টিয়ারগ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ।

তারপরই পরিস্থিতি রক্ষক্ষেত্র হয়ে ওঠে। পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই মন্ত্রিসভার সদস্য সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী! গ্রন্থাগারমন্ত্রী ও রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন,সিপিএমের জমানায়ও হয়নি। সিপিএমের পুলিশ কিন্তু আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করেনি। এটা সত্য কথা  আমরা সুযোগই দিইনি। বহু সভা করেছি, তো পুলিশকে লাঠিচার্জ কেন করতে হল, আমি জানি না, যারাই আন্দোলন করবেন, হিংসাত্মক আন্দোলন করলে ফেল হয়ে যাবেন। আমরা হিংসা চাই না, হিংসাত্মক হলে আমরা আটকে যাব, ক্ষতিগ্রস্ত হব। 

  প্রতিবাদীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। রাজ্য় পুলিশের তরফে পোস্ট করে জানানো হয়েছে,জঙ্গিপুরে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। যারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল, তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক। যারা হিংসা ছড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া হবে। যারা গুজব এবং বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সবাইকে অনুরোধ, গুজব ছড়াবেন না। শান্ত থাকুন। গোটা এলাকা থমথমে। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। 

 

আরও দেখুন



Source link