মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ কাণ্ডে বিজেপি, RSS-কে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর, পাল্টা জবাব শুভেন্দু অধিকারীর। ‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য ঘৃণার বিষ ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তি বার্তার নামে ঘৃণার বিষ ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী’, আক্রমণ বিরোধী দলনেতার। ‘বিজেপি ও সঙ্ঘের বিরুদ্ধে মানুষকে উস্কানি দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’, মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা নিয়ে NIA তদন্তের নির্দেশ দিক কেন্দ্র, পোস্ট শুভেন্দু অধিকারীর।
আরও পড়ুন, ‘ক্ষমা করো দয়াময়, ঈশ্বর-আল্লাহ’, কেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার ফেরাতে চাইছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ইয়াসিন পাঠান ?
ঘোষিত ওয়াকফ সম্পত্তিতে আপাতত কোনও বদল করা যাবে না। বোর্ড বা পর্ষদে আপাতত করা যাবে না কোনও নিয়োগ। ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে মামলার প্রেক্ষিতে আজ কেন্দ্রকে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অন্য়দিকে, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ-হিংসা নিয়ে আজও তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। ঘরছাড়াদের নিয়ে রাজ্য়পালের সঙ্গে দেখা করলেন সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি, হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, আপাতত মুর্শিদাবাদে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের নানা প্রান্ত! জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল পুলিশের গাড়ি! জঙ্গিপুরে আবার অশান্তির সময় পুলিশের দোকানে লুকিয়ে পড়ার ছবি সামনে আসায় জোর বিতর্ক তৈরি হয়। এই আবহেই বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে রাজ্য় সরকার জানাল। ৮ এপ্রিল রঘুনাথগঞ্জের উমরপুরে SDPO-র গ্লক পিস্তল ছিনতাই করে দুষ্কৃতীরা। সেখানে ১০ রাউন্ড গুলি ছিল।
জঙ্গিপুরের SDPO-র গাড়ি ও হাইওয়েতে টহলরত গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। বিক্ষোভকারীরা হঠাৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তারা লাঠি, হাঁসুয়া, লোহার রড ও অন্য় অস্ত্র নিয়ে হত্য়ার উদ্দেশে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। ওয়াকফ আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সূতি ও সামশেরগঞ্জ। এবার এই দুটি থানা এলাকাতেই পুলিশের সাংগঠনিকস্তরে রদবদল করা হল। এতদিন এই দুই থানায় সাব ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার অফিসাররা ছিলেন OC। এবার সেই সুতি ও সামশেরগঞ্জ থানায় OC-র ওপর বসানো হল IC পদমর্যাদার অফিসারদের।
প্রদেশ কংগ্রেস প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাথরসে লোক পাঠাচ্ছে, মণিপুরে লোক পাঠাচ্ছে কিন্তু জঙ্গিপুরে লোক পাঠাচ্ছে না। সব ভোটের সময় মুসলমান মুসলমান হবে, ভোটের সময় হিন্দু হিন্দু হবে, আরে বিপদের সময় কোথায় তোমরা? এদিকে মুর্শিদাবাদের অশান্ত জায়গায় আপাতত মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। আর এসবের মধ্যেই, ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যদিও তাঁকে অশান্ত এলাকায় না যেতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, আমি আবেদন করব মাননীয় রাজ্য়পাল মহাশয়কে। দয়া করে কিছুদিন অপেক্ষা করুন।
আরও দেখুন