সরকারি হাসপাতালে গুন্ডামির অভিযোগ, পুলিশ পিটিয়ে ধৃত ওসি

রাজীব চৌধুরী, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে পুলিশের গুন্ডামির অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মুর্শিদাবাদের লালগোলা হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে পুলিশ কর্মীদের পর্যন্ত পেটানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশেরই বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বীরভূমের জেলা ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর ওসি আশরাফুল শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সরকারি হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুলিশকে মারধর করার অভিযোগ, মুর্শিদাবাদে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন, বীরভূম জেলা ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর ওসি আশরাফুল শেখ। ওসি-র সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-সহ মোট ৬ জনকে। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে মাকে নিয়ে লালগোলা-কৃষ্ণপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান আশরাফুল শেখ। সেখানে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তিনি। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করেন। এমনকী, তাঁর মারে জখম হন লালগোলা থানার সাব ইনস্পেক্টর দেবব্রত দত্ত। আহত হন এই থানারই আরেক সাব ইনস্পেক্টর কল্যাণ সাধন সিংহ। আরেকটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লালগোলা থানার ওসি অতনু দাসের কলার ধরে মারধর করছেন ধৃত ওসি-র স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বিবি। সরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর, একাধিক পুলিশ কর্মীকে মারধরের ঘটনায়, সাসপেন্ড করা হয়েছে বীরভূম ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ওসি আশরাফুল শেখকে।
সোনার গয়না হাতাতে ডাকাতির সাজানো অভিযোগ উঠল কলকাতায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে মিথ্যা অভিযোগের পর্দাফাঁস। রিজেন্ট পার্কে লুঠপাটের অভিযোগ সংক্রান্ত ঘটনায় অভিযোগকারী মহিলাকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর জামাইবাবুকেও। পুলিশ সূত্রে খবর, সোনার গয়না হাতাতেই ডাকাতির গপ্পো ফেঁদেছিলেন ম্যুর অ্যাভিনিউর বাসিন্দা সোনালি বিশ্বাস। জিজ্ঞাসাবাদে সেকথা স্বীকারও করেছেন তিনি। সোমবার ভর সন্ধেয় রিজেন্ট পার্কের ম্যুর অ্যাভিনিউতে, থানা থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ ওঠে। গৃহকর্ত্রী সোনালি বিশ্বাসের অভিযোগ ছিল, তিনি দরজা খোলার সময়, জোর করে ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে মুখোশে মুখ ঢাকা দুই দুষ্কৃতী। তাঁর মুখে কাপড় গুঁজে, গলায় ছুরি ঠেকিয়ে, তাঁকে দিয়েই আলমারি খুলিয়ে সোনার গয়না লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে দরজা দিয়ে কাউকে বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়নি। ছাদ দিয়েও কেউ ঘরে ঢোকেনি। তাতেই সন্দেহ বেড়ে যায় তদন্তকারীদের। দুষ্কৃতীদের চেহারা সম্পর্কে জানতে অভিযোগকারিণীর বর্ণনা শুনে তিনবার স্কেচ করানো হয়। কিন্তু মহিলা ৩ বার ৩ রকম বর্ণনা দেন। দুষ্কৃতীদের স্কেচও তিন রকমের হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, শ্বশুরবাড়ি থেকে দেড়শো গ্রামের সোনার গয়না সরিয়ে ফেলেছেন মহিলা। তা খোয়া গেছে প্রমাণ করতেই ডাকাতির গপ্পো ফাঁদেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, এক আত্মীয়ের সঙ্গেও ৬ লক্ষ টাকার লেনদেন নিয়ে সমস্যা রয়েছে মহিলার। অভিযোগকারী মহিলার জামাইবাবু রাজা নাগকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: TMC Leader Controversy: ‘ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দেবে’ এবার বিতর্কে বীরভূমের তৃণমূল নেতা
আরও দেখুন