জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফিরছে সেই ভয়ংকর স্মৃতি! বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ফের মাথা তুলছে কোভিড ১৯। সিঙ্গাপুরে ৩ মে পর্যন্ত ১৪,২০০টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। হংকংয়ে ইতিমধ্যেই করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। ভারতের বাড়ছে আশঙ্কা। এবার মুম্বইয়ে ধরা পড়ল এক করোনা রোগী। ফলে এবার কি আর চুপ করে থাকা যাবে না? কী বলেছেন বিশেষজ্ঞরা?
মুম্বইয়ের ওই রোগীকে নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ওই রোগীর সংক্রমণ খুবই হালকা। ২০২০ থেকে ২০২২ সালে যেভাবে সংক্রমণ হয়েছিল তার সঙ্গে এর কোনও তুলনাই চলে না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ৯৩ সক্রিয় কোভিড কেস ধরা পড়েছে। ফলে এনিয়ে খুব বেশি উদ্বেগের কারণ নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহন্নমুম্বই পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. দাক্ষা শাহ সংবাদমাধ্য়মে বলেন, প্রতি মাসেই ৭-৯টি করোনা কেস পাই। অন্যদিকে, মুম্বইয়ের বিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ২ জন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এদের একজন সম্প্রতি লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন। তার গলায় ব্যথা ও প্রচুর পরিমাণে কফ উঠছিল। দ্বিতীয় যে ব্যক্তির করোনা ধরা পড়ে তার কোনও ট্রাভেল হিস্ট্রি নেই।
এদিকে, গোটা দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা খুব নগন্য হলেও ভাবাচ্ছে সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের করোনা সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই হংকংয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। সিঙ্গাপুর সরকার জারি করেছে সতর্কতা। সিঙ্গাপুরে গত বছরের তুলনায় করোনা সংক্রমণের হার ২৮ শতাংশ বেড়েছে। গত ৩ মে পর্যন্ত সেখানে মোট ১৪,২০০টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন- বিদ্বেষের চরমে ইউনূসের বাংলাদেশ, তাও পদ্মাপাড়ের ক্রিকেটার আইপিএলে! তুমুল শোরগোল
আরও পড়ুন-ভারত-পাক সীমান্তে দেশরক্ষায় লড়ছেন জওয়ান, বাড়িতে অপহরণের আতঙ্কে সিঁটিয়ে স্ত্রী-মেয়ে
‘ব্লুমবার্গ’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়াতে করোনার এই নতুন ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের এক নতুন ঢেউয়ের কারণে হতে পারে। চিনে এর সংক্রমণ গত গ্রীষ্মকাল থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আর থাইল্যান্ডে এপ্রিল মাসে হওয়া সংক্রমণ উৎসবের পর থেকেই বাড়তে শুরু করেছে।
সিঙ্গাপুরে বর্তমানে LF.7 এবং NB.1.8 নামের দুটি ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এই দুটি ভ্যারিয়েন্ট JN.1 স্ট্রেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, এই দুটি ভ্যারিয়েন্ট মিলেই মোট সংক্রমণের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি দায়ী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও, যাদের আগেই স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, অর্থাত্ কোমরবিটির রয়েছে তাদের মধ্যেও সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। ডাক্তারদের মতে, এই ঋতুতে দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের কারণে এমনটা হতে পারে। এই কারণে সিঙ্গাপুরে মানুষকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)