লখনউ: ২৩ বলে ২৫ রান করে ব্যাটিং করছিলেন তখন। ক্রিজে ছিলেন অপরাজিত। কিন্তু হঠাৎ করেই ডাগ আউট থেকে তাঁর দিকে নির্দেশ এল মাঠ ছাড়ার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) তরুণ ব্যাটার তিলক বর্মাকে (Tilak Varma) অপরাজিত থাকা অবস্থাতেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য করা হল। বাধ্য করল মাহেলা জয়বর্ধনে ও তাঁর কোচিং ম্য়ানেজমেন্ট। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নই বারবার উঠে আসছিল লখনউ বনাম মুম্বই (Lucknow Supergiants vs Mumbai Indians) ম্য়াচের পর। ম্য়াচে হার্দিক পাণ্ড্যর দল হেরে যাওয়ার পর আরও বেশি করে এই প্রশ্ন উঠছিল। একটা ম্য়াচে একটি স্লো পারফরম্য়ান্স বলে এভাবে মাঠ থেকে ডেকে নেওয়া হবে?
ম্য়াচের পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে বলছেন, ”এটা একটা ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্ত ছিল। আসলে তিলকের ব্যাটে-বলে সংযোগ হচ্ছিল না ঠিকভাবে। আমরা চাইছিলাম নতুন কাউকে মাঠে নামাতে। তিলক আমাদের দলের জন্য প্রচুর ভাল ভাল ইনিংস খেলেছে। অসাধারণ ব্যাটার। সূর্যকুমারের সঙ্গে ওর পার্টনাশিপটাও ভালই এগোচ্ছিল। কিন্তু সূর্য আউট হওয়ার পর ও চালিয়ে খেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্য়ন্ত পারছিল না কোনও মতেই। আর কয়েকটা ওভারই মাত্র বাকি ছিল। আমি ভাবছিলাম নতুন কেউ মাঠে নামলে চাপ একটু কমবে।”
তিলক লখনউ সুপারজায়ান্টসের বিরুদ্ধে মাত্র দুটো বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন। তাঁকে যখন মাঠ ছাড়তে বলা হল, তখন মুম্বইয়ের প্রয়োজন ১২ বলে ২৯ রান। সেই সময় তাঁর পরিবর্তে মিচেল স্য়ান্টনারকে নামানো হয়েছিল। যিনি একজন বোলিং অলরাউন্ডার। এই ট্যাকটিক্সটিই আরও বেশি করে অনেকেই মাথায় ঢোকেনি। হাজার হলেও তিলক একজন স্পেশালিস্ট ব্যাটার। সেখানে একজন বোলিং অলরাউন্ডার কীভাবে তাঁর বিকল্প হতে পারেন?
শুক্রবার ম্য়াচের পর হার্দিক পাণ্ড্যকেও এই প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হয়েছিল। তিনি জবাব দিয়েছিলেন, ”আমাদের সে সময় কিছু বড় শটের প্রয়োজন ছিল। তিলক চেষ্টা করছিল, কিন্তু কোনওভাবেই সেই মুহূর্তে ওর ব্যাটে বল লাগছিল না ঠিকভাবে। ক্রিকেটে এমন কিছু কিছু দিন যায়, যখন চেষ্টা করলেও ব্যাটে রান আসে না। এটা খুবই সাধারণ বিষয়। আমাদের আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, সিদ্ধান্ত গুলো ভালো নিতে হবে, বোলিংয়ে দক্ষতা দেখাতে হবে।”
আরও পড়ুন: খারাপ সময় যেন কাটছেই না, দল জিতলেও কড়া শাস্তির মুখে পড়লেন ঋষভ পন্থ
আরও দেখুন