জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা মহিলা ক্রিকেটার, বাইশ গজের ‘লিভিং লেজেন্ড’। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মিতালি রাজের (Mithali Raj) কোনও বিশেষণেরই প্রয়োজন নেই। একাধিক আন্তর্জাতিক রেকর্ডে তাঁর ঝুলিতে। মিতালি, আজীবন ভারতীয় ক্রিকেটকে নিজের ব্যক্তি জীবনের অনেক উপরে রেখেছেন। ক্রিকেট ধ্য়ান, ক্রিকেট জ্ঞান মিতালির। আজও অবিবাহিতা মিতালি, কেন তিনি বিয়ে করেননি? ইউটিউবে রণবীর আল্লাহবাদিয়ার পডকাস্টে (Ranveer Allahabadia’s Show) এসে মিতালি বিয়ের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন, বলা ভালো বিয়ের আগে সম্ভাব্য় শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে টেলিফোনিক কথোপকথনেই আঁতকে উঠেছিলেন, তিনি আর বিয়ের কথা ভাবতেও পারেননি।
আরও পড়ুন: তিনি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় তারকা, ধোনি-কোহলির সঙ্গেও খেলেছেন, এই পেসার এখন হলেন SBI কর্মী!
৪২ বছরের যোধপুরের মেয়ে বিয়ে সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন, তিনি জানান, ‘ফোনে বিয়ের ব্য়াপারে কথা বলার সময়ে মনে হয়নি যে, ফোনের উল্টোদিকের মানুষজনে মিতালি রাজের সঙ্গে কথা বলছেন। আমার মাসিই বিয়ের কথা বলেছিল। তাঁরাই ফোনে কথা বলার ব্য়বস্থা করে দেয়। প্রাথমিক কথাবার্তার পরেই তাঁরা আামাকে সোজা বিবাহ-পরবর্তী দৃশ্যে দেখান। বলেছিলেন যে, তাঁরা কতগুলি বাচ্চা চান! আমি শুনে পুরোপুরি ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলাম। কারণ সেগুলো এমন জিনিস ছিল, যা আমি কখনও কল্পনাও করিনি বা কারোর সঙ্গে আলোচনাও করিনি। আমি সবসময় ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে ভাবতাম। তাই ভাবতেও পারিনি ক্রিকেট ছাড়ার কথা বা বাচ্চাকাচ্চার বিষয়!’
মিতালি আরও বলেন, ‘ আমি তখন ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলাম। ফোনে একজন বলেছিলেন যে, বিয়ের পর আমাকে ক্রিকেট ছেড়ে দিতে হবে, কারণ বিয়ের পরে বাচ্চাদের দেখাশোনা করতে হবে। আমি তখন কথাগুলো গিলে নিয়েছিলাম। যদিও তার নাম মনে নেই আমার। অদ্ভুত প্রশ্ন তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন, আমার মায়ের কিছু হলে তুমি কি তার দেখাশোনা করবে নাকি তখনও ক্রিকেট খেলবে?’ সোজাসাপ্টা বলেছিলাম, এটা কী ধরনের প্রশ্ন’ তিনি বলেছিলেন, আমার জানা দরকার তোমার কাছে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এবং আমি উত্তর দিয়েছিলাম, সেটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। আমি ঠিক কী বলেছিলাম তা এখন মনে নেই, তবে আমি আর কথা বলার জায়গায় ছিলাম না।
মিতালি এও জানিয়েছেন যে, তাঁকে তাঁর ক্রিকেটার বন্ধুরই বলেছিলেন যে, নিজেকে না বদলালে, মিতালি কখনই জীবনসঙ্গী পাবেন না! মিতালি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার এখনও মনে আছে, আমার এক ক্রিকেটার বন্ধুই বলেছিল যে, আমাকে কিছুটা মানিয়ে নিতে হবে। কারণ আমি কখনই এমন ব্যক্তিকে খুঁজে পাব না যে, আমাকে আমার একই লাইফস্টাইল বজায় রাখতে দেবে। আমি তাকে বলেছিলাম যে প্রশ্নটির কোনও অর্থই নেই, কিন্তু সে উত্তর দিয়েছিল যে, বেশিরভাগ পুরুষই এই ধরনের প্রশ্ন করে। আমি তখনও পর্যন্ত মানসিক ভাবে তৈরি ছিলাম না। আমি অনুভব করেছিলাম যে, আমার বাবা-মা সমস্ত ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আমি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি এবং আমি কিছু এলোমেলো ব্যক্তির বাড়ির দেখাশোনা করার জন্য আমার কেরিয়ার ছাড়ব না।’ মিতালির কথাতেই সাফ যে ফোনের অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ে ফেলেছিলেন।
আরও পড়ুন: হা হতোস্মি! উদ্দাম উদযাপনের এমনই ধুম, শেষে কাঁধে চেপে মাঠ ছাড়লেন নেপালি
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)