সৌভিক মজুমদার, শিবাশিস মৌলিক ও আশাবুল হোসেন, কলকাতা: মেদিনীপুর মহিলা থানায় পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগের মামলায়, ফের কলকাতা হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল পুলিশ। DSO নেত্রী সুশ্রিতা সোরেনের মামলার শুনানিতে, SFI নেত্রী সুচরিতা দাসের মামলার সিসিটিভি ফুটেজের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। মঙ্গলবার হাইকোর্টে ফের এই মামলার শুনানি।
আরও পড়ুন, রান্নার গ্য়াসের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রীর, ‘বাহবা নন্দলাল, হাজার টাকার গ্যাসে ফুটছে বিনা পয়সার চাল..’!
মেদিনীপুর মহিলা থানার CCTV ফুটেজ ইতিমধ্যেই হেরফের করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮ টায় তো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, তাহলে ওইসময় তাঁদের কী করে থানায় দেখা যাচ্ছে? ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। DSO নেত্রী সুশ্রিতা সোরেনের ওপর পুলিশি অত্য়াচারের অভিযোগে দায়ের মামলার সোমবার শুনানি ছিল হাইকোর্টে। এই শুনানির সময়ই ওই একইদিনে, ওই একই থানায় SFI নেত্রী সুচরিতা দাসের ওপর অত্য়াচারের অভিযোগ-সংক্রান্ত মামলার প্রসঙ্গ তোলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
সিসিটিভি ফুটেজের প্রসঙ্গ তুলে, মাননীয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন,থানার তরফ থেকে সমস্ত সঠিক চিত্র আদালতের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে বলে আমার মনে হচ্ছে না।অ্য়াডভোকেট জেনারেলের উদ্দেশ্য়ে তিনি বলেন, আমি তো আপনাকেই (রাজ্য় সরকার) প্রশ্ন করব। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি সন্তুষ্ট হব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি কোনও নির্দেশ দিই না। কারণ, আমি জানি যে, আদালতের নির্দেশের ফলে সরকারি হোক বা বেসরকারি, যে কোনও ব্যক্তির কর্মজীবনে কতটা ক্ষতি হতে পারে।’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে ছাত্র জখম হওয়ার প্রতিবাদে, গত ৩ তারিখ ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয় SFI ও SUCI-এর ছাত্র সংগঠন DSO.ধর্মঘটের দিন DSO আন্দোলন কর্মসূচি নেয় মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছনোর আগেই কর্মী-সমর্থকদের রাস্তা আটকে দেয় পুলিশ। অভিযোগ, ঘটনাস্থল থেকে মহিলা আন্দোলনকারীদের মেদিনীপুর মহিলা থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে, মেদিনীপুর মহিলা থানার সমস্ত CCTV ক্যামেরার ফুটেজ এবং ডিজিটাল ফুটেজ খতিয়ে দেখার জন্য,ব্যারাকপুরের স্বামী বিবেকানন্দ পুলিশ অ্যাকাডেমির IG মুরলীধর শর্মাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।মামলার শুনানিতে এদিন মাননীয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন,১৬ ঘণ্টা (সুশ্রীতা সোরেনকে) আটকে রাখার কোনও প্রয়োজন ছিল বলে আমি মনে করি না। মঙ্গলবার হাইকোর্টে ফের এই মামলার শুনানি।
আরও দেখুন