কলকাতা: চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য কলকাতা মেট্রোর (Metro Service Disruption) গ্রিন লাইনে বন্ধ থাকবে মেট্রো চলাচল। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত মিলবে না পরিষেবা। শিয়ালদা থেকে সেক্টর ফাইভ এবং ধর্মতলা থেকে হাওড়া পর্যন্ত গড়াবে না মেট্রোর চাকা।
বন্ধ থাকবে মেট্রো চলাচল: অবশেষে দিন গোনার পালা শুরু। চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় উতরে গেলেই সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া পর্যন্ত ছুটবে মেট্রো। সেই পরীক্ষাই নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে আগামী তিন দিন কলকাতা মেট্রো গ্রিন লাইনে বন্ধ থাকবে পরিষেবা। শনিবার ২৬ এপ্রিল থেকে সোমবার ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই পরীক্ষা হবে। তাই ওই তিন দিন বন্ধ রাখতে হবে পরিষেবা। মঙ্গলবার থেকে ফের স্বাভাবিক হবে পরিষেবা। মেট্রো কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট দিনে স্বাভাবিক থাকবে পরিষেবা। পার্পল লাইন এবং অরেঞ্জ লাইনে সোমবার স্বাভাবিক থাকবে পরিষেবা। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির অনুমোদন পেলেই, নির্বিঘ্নে শুরু হবে এই মেট্রো যাত্রা। সাধারণত কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি ছাড়পত্র দেওয়ার ৩ মাসের মধ্যে যে কোনও রুটে পরিষেবা চালু হওয়ার কথা। কবে সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া পর্যন্ত মেট্রো ছুটবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ বা রেল বোর্ড।
বিমান ধরতে ঝক্কি পোহানো কিছুটা কমতে চলেছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসেই চালু হচ্ছে নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রো পরিষেবা। ঝাঁ চকচকে কলকাতা বিমানবন্দরের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জয়হিন্দ’। রেলের ইঞ্জিনিয়রদের সঙ্গে সোমবার স্টেশন পরিদর্শনে করেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। ভারত তথা এশিয়ার মধ্যে অন্যতম বৃহৎ আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন হতে চলেছে এই জয় হিন্দ বিমানবন্দর স্টেশন। ঝাঁ চকচকে এই স্টেশনে মোট ৫টা প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যা কিনা অন্যান্য স্টেশনের তুলনায় বেশি। আপাতত, ২ টো প্ল্যাটফর্ম কার্যকরী অবস্থায় রয়েছে। স্টেশন চত্বর জুড়ে ১২টি এসক্য়ালেটরের পাশাপাশি, ৬টি লিফটেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এর আগে, লালুপ্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বিমানবন্দর পর্যন্ত চক্ররেল পরিষেবা চালু হয়েছিল। পর্যাপ্ত যাত্রী না হওয়ার, সেই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আপাতত, নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত চালু হবে এই লাইন। মে মাসেই নোয়াপাড়া থেকে দমদম বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো চালুর আশ্বাস মিললেও, কবে বারাসাত পর্যন্ত গড়াবে মেট্রোর চাকা? জমি জটে আটকে রয়েছে মেট্রো রেলের সম্প্রসারণ। বারাসাতের কাছে ৮ কিলোমিটার কাজ এখনও বাকি।
(জমি অধিগ্রহণ একটা ইস্যু। + সারা দেশে কোনও সরকারের যদি কোনও পূর্ণাঙ্গ জমিনীতি না থাকে তো স্বাভাবিকভাবেই
আরও দেখুন