এই ড্রাগ ব্যবহার করে যারা ক্ষতিগ্রস্ত,তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে:প্রধান বিচারপতি
<p>ABP Ananda Live: ‘সব হাসপাতালে রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে’। ‘যারা এই ড্রাগ ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে’। স্যালাইন মামলায় নির্দেশ প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের। ‘আগেই রিঙ্গার্স ল্যাকটেটের ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে’। আদালতে জানায় রাজ্য। ঘটনার CID তদন্তে আগ্রহী রাজ্য? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। ‘হ্যাঁ, ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করছে পুলিশ’। ‘১৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে’। আদালতে জানালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। ‘কি পদক্ষেপ নিয়েছেন ফার্মা কোম্পানির বিরুদ্ধে?’ ‘মামলাকারী মিথ্য়ে তথ্য দিয়েছে’।’৩ টি ব্যাচের স্যালাইন ওই সংস্থার তৈরি ছিল’। ‘ওই একটি ব্যাচের ৩০ হাজার স্যালাইন ব্যবহার হয়েছে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে’। ‘সরকারি ল্যাবে পরীক্ষা হয়েছে’। ‘মুম্বই ল্যাবেও পরীক্ষা হয়েছে’। ওই সংস্থা দেশের সব রাজ্যেই স্যালাইন সরবরাহ করে, যুক্তি রাজ্যের। আপনারা কি ফার্মা কোম্পানিকে নোটিস দিয়েছেন? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। না, এই মর্মে নোটিস দেওয়া হয়নি, জানাল রাজ্য। ‘কর্ণাটকে এই সংস্থাকে তিন বছর নিষিদ্ধ করা হয়’। ‘তারপরও এই রাজ্যে ওই সংস্থাকে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়’। ‘স্বাস্থ্য সচিব সব জেনেও কিছু করেন নি’। ‘১০ ডিসেম্বর রাজ্য এই ওষুধের উপ নিষেধাজ্ঞা জারি করে’। ‘তারপরও তা কেন হাসপাতালে ব্যবহৃত হল?’ ‘গরিব বলেই কি গিনিপিগের মতো তাদের ব্যবহার করতে হবে?’ প্রশ্ন মামলাকারীদের আইনজীবীর । ‘কেন্দ্রীয় ল্যাব থেকে আমরা সার্টিফিকেট পেয়েছি’। পাল্টা যুক্তি রাজ্যের। ‘রাজ্য বেনিফিট অফ ডাউট দিচ্ছে কীকরে? এটা তো ওয়েল ফেয়ার স্টেট, তাই না?’ ‘যে মুহূর্তে রোগী মারা গেলেন তখনই উচিত ছিল নোটিস জারি করা’। এত দেরি হল কেন?, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। ‘রাজ্য এক রাতে ৩০ হজার স্যালাইন বন্ধ করতে পারে না’। আদালতে দাবি অ্যাডভোকেট জেনারেলের। ‘আপনি হলফনামা দিন, আর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে’। নির্দেশ হাইকোর্টের। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ জানুয়ারি।</p>
Source link