NOW READING:
ইঞ্জিনিয়ার হয়ে মহাকাশ গবেষণায় পদার্পণ, শেষে মহাদেবের পায়ে সমর্পণ নিজেকে, মহাকুম্ভে IIT-বাবা
January 15, 2025

ইঞ্জিনিয়ার হয়ে মহাকাশ গবেষণায় পদার্পণ, শেষে মহাদেবের পায়ে সমর্পণ নিজেকে, মহাকুম্ভে IIT-বাবা

ইঞ্জিনিয়ার হয়ে মহাকাশ গবেষণায় পদার্পণ, শেষে মহাদেবের পায়ে সমর্পণ নিজেকে, মহাকুম্ভে IIT-বাবা
Listen to this article


প্রয়াগরাজ: ১৪৪ বছর পর মহাযোগ। এবারের মহাকুম্ভ নিয়ে তাই উৎসাহও বেশি। দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ছুটে এসেছেন প্রয়াগরাজে। সেই ভিড়ে আলাদা করে নজর কাড়লেন IIT বাবা। গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে তাঁকে খুঁজে পেলে CNN News 18-এর সাংবাদিক। আর সেই সাক্ষাতই এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। IIT ফেরত সন্ন্যাসী বলে নয়, তাঁর জীবনবোধ সকলকে মুগ্ধ করেছে। (IITian Baba at Mahakumbh)

সন্ন্যাসীর কথাবার্তা গোড়াতেই নজর কাড়ে জনৈক সাংবাদিকের। তাই কথা বলতে এগিয়ে যান। কিন্তু তাঁর জন্য আরও বড় চমক অপেক্ষা করছিল। সাংবাদিক বাগ্মিতার প্রশংসা করলে সন্ন্যাসী জানান, তিনি IIT পাশ। এতে সাংবাদিক তো বটেই, চারপাশের সকলেও অবাক হয়ে যান। (Mahakumbh 2024)

ওই সন্ন্যাসীর আসল নাম অভয় সিংহ। আধ্যাত্মিকতার জগতে প্রবেশের পর নয়া নাম হয়েছে মাসানি গোরখ। কখনও কখনও রাঘব, জগদীশ নামও ধারণ করেন। মহাদেবের প্রতি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন IIT বম্বে থেকে। মহাকাশ বিজ্ঞানের জগতে কাজও করেছেন বেশ কিছু দিন। মহাকাশ বিজ্ঞানের জগৎ থেকে মহাকুম্ভে কী করে এসে পড়লেন সন্ন্যাসী, বিজ্ঞানের জগতের মানুষ আধ্যাত্মিক জগতে এসে পড়লেন কী করে, জানতে চান সাংবাদিক। সন্ন্যাসী হেসে বলেন, “এটাই তো শ্রেষ্ঠ পর্যায়।”

ওই সন্ন্যাসী জানান, তিনি আসলে হরিয়ানার বাসিন্দা। IIT বম্বে থেকে এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক। কিন্তু জীবনবোধের শিক্ষা সেখানেই শেষ হয়নি। পরবর্তীতে ডিজাইনিং নিয়ে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনাও সম্পূর্ণ করেন। পদার্থবিজ্ঞান পড়াতেন ছাত্রছাত্রীদের। ছবি তোলাও বেশ পছন্দ ছিল। পরবর্তীতে দর্শনের শিক্ষার দিকে ঝোঁকেন। কিন্তু শান্তি পাচ্ছিলেন না কিছুতেই। বোনের কথায় কানাডাও গিয়েছিলেন মাঝে। কিন্তু স্থিরতা আসেনি জীবনে। শেষে অতিমারিই জীবনকে অন্য ভাবে দেখতে শেখায় তাঁকে। তাঁর কথায়, “জ্ঞানের পিছনে ছুটে কোথায় পৌঁছনো সম্ভব? এখানে, এই জায়গায়।”

স্বাচ্ছন্দ্যে ভরা জীবন, বিলাসিতা ছেড়ে কেন এই পথ বেছে নিলেন তিনি? জবাবে সন্ন্যাসী বলেন, “জীবনের অর্থ খুঁজে বেড়াই আমরা। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময়ও দর্শনের কোর্স করি আমি। উত্তর-আধুনিকতাবাদ, সক্রেটিস, প্লেটো, জীবনের অর্থ বুঝতে চেয়েছিলাম। এখন বুঝেছি, এটাই আসল জ্ঞান। জীবনকে বুঝতে হলে, নিজের মনকে বুঝতে হলে আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমেই বুঝতে হবে।”

লোকে কী ভাবল, তার পরোয়া করেন না বলেও জানান সন্ন্যাসী। তাঁর সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনদের অনেকেই তাঁর প্রশংসা করেছেন। তাঁদের মতে, ব্রহ্মাণ্ডের সব জ্ঞানের প্রাপ্তি ঘটলেও, শূন্যতা কাটিয়ে ওঠা যায় না। তাই সবকিছু শেষ সেই মহাদেব, চিরসত্য। ওই সন্ন্যাসী সেই চিরসত্যকেই তুলে ধরেছেন বলে মত নেটিজেনদের। বস্তুনির্ভর হাতছানি কাটিয়ে আধ্যাত্মিকতার প্রতি নিজেকে সঁপে দেওয়া সহজ কাজ নয় বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। 

আরও দেখুন



Source link