Upcoming IPO : শুরু হয়ে গেল এই IPO আনার তোড়জোড়। শীঘ্রই বাজারে আইপিও আনতে পারে ই-কমার্স স্টার্টআপ মিশো (Meesho IPO)। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সেবিতে (SEBI) খসড়া পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কোম্পানি।
কত টাকা তুলবে কোম্পানি
শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে আইপিওর মাধ্যমে ৪,২৫০ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন পেয়েছে কোম্পানি। ২৫ জুন অনুষ্ঠিত এক্সট্রাঅর্ডিনারি জেনারেল মিটিং (ইজিএম) এ প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। ২৭ জুন একটি নিয়ন্ত্রক ফাইলিংয়ে এর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। মিশো এখন শেয়ার বাজার থেকে তহবিল সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে, যেখানে নতুন ইক্যুইটি শেয়ার ইস্যু করা হবে এবং কিছু বর্তমান বিনিয়োগকারীও তাদের শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন।
পরবর্তী পদক্ষেপ, সেবিতে ডিআরএইচপি ফাইল করা
তবে, আইপিওর চূড়ান্ত আকার এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এর জন্য মিশোকে ভারতীয় বাজার নিয়ন্ত্রক সেবিতে তার ড্রাফ্ট রেড হেরিং প্রসপেক্টাস (ডিআরএইচপি) ফাইল করতে হবে। রিপোর্ট অনুসারে, কোম্পানি গোপনীয় ফাইলিং রুটের মাধ্যমে এটি ফাইল করার পরিকল্পনা করছে। সেবি’র অনুমোদনের পরেই কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে জনসাধারণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে।
সিইও বিদিত আত্রে চেয়ারম্যান ও ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর হয়েছেন
শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিদিত আত্রেকে কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগের অনুমোদনও দিয়েছেন। কোম্পানির নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আইপিও চালুর প্রস্তুতির সময় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আমেরিকা থেকে ভারতে ‘প্রত্যাবর্তন’
আইপিওর আগে মিশো আরেকটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। তার আইনি উপস্থিতি (বাসস্থান) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে স্থানান্তরিত করে। পিটিআই-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ডেলাওয়্যার-রেজিস্টার্ড মিশো ইনকর্পোরেটেডকে তার ভারতীয় ইউনিট ফাশনিয়ার টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে মার্জ করা হয়েছে।
এই মার্জকে ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলটি), বেঙ্গালুরু বেঞ্চ দ্বারাও অনুমোদিত হয়েছে। ভারত সরকারের কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক ১৩ মে জারি করা একটি শংসাপত্রের মাধ্যমে ফাশনিয়ার টেকনোলজিসের নাম পরিবর্তন করে মিশো প্রাইভেট লিমিটেড করেছে।
ফ্লিপকার্টও একই পথে রয়েছে
মিশোর মতো, ফ্লিপকার্টও তার আইপিওর আগে সিঙ্গাপুর থেকে ভারতে তার স্থায়ী রেসিডেন্স তৈরি করছে। এই প্রবণতা থেকে বোঝা যায় যে, ভারতীয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলি এখন দেশীয় বাজারে তালিকাভুক্তি পছন্দ করছে, যাতে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরাও এই বৃদ্ধির অংশ হতে পারেন।
মিশোর আইপিও আগামী সময়ে দেশের স্টার্টআপ আইপিও জগতে একটি বড় আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে। কোম্পানির ভারতে প্রত্যাবর্তন ও জনসাধারণের কাছে প্রকাশের প্রস্তুতি ইঙ্গিত দেয় যে এখন ভারতীয় স্টার্টআপগুলি ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের সরাসরি অংশীদারিত্ব করতে প্রস্তুত।
( মনে রাখবেন : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। বিনিয়োগকারী হিসাবে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ABPLive.com কখনও কাউকে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয় না। এখানে কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত খবর দেওয়া হয়। কোনও শেয়ার সম্পর্কে আমরা কল বা টিপ দিই না।)