নারকেলডাঙায় অগ্নিকাণ্ড, শাসক দলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দায়ের FIR, রড দিয়ে মাথা ফাটানোর অভিযোগ

<p><strong>আবির দত্ত, কলকাতা :</strong> নারকেলডাঙায় আগুনে মৃত্যু, পরিস্থিতি দেখতে গেলে মেয়রের সামনে বিক্ষোভ, তুলকালাম। কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের। শাসক দলের কাউন্সিলর সচিন কুমার সিংহর বিরুদ্ধে FIR। গতকাল মেয়র এলাকা ছাড়ার পর গন্ডগোলের প্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়ের। রড দিয়ে এক ব্যক্তির মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। পাল্টা শ্লীলতাহানি, অস্ত্র সহ হামলার অভিযোগ কাউন্সিলর অনুগামীর। দু’পক্ষের অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্তের জন্য ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। </p>
<p>গতকাল নারকেলডাঙায় যেখানে আগুন লেগেছিল সেই জায়গা পরিদর্শন করে মেয়র চলে যাওয়ার পর উত্তেজনার পরিস্থিতি দেখা দেয়। গন্ডগোল শুরু হয়। চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনাও দেখা যায়। নারকেলডাঙা থানায় দু’টি এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে খবর। লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে হায়দার নওয়াজের অনুগামীদের তরফ থেকে। ৬ জনের নাম রয়েছে এই এফআইআরে। প্রথম নামই হল কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সচিন কুমার সিংহ। অভিযোগ, রড দিয়ে হামলা চালিয়েছেন সচিনের অনুগামীরা। এক ব্যক্তির মাথা ফেটে গিয়েছে বলে অভিযোগ। এর পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন সচিন কুমার সিংহের অনুগামীরা। সেখানে ১১ জনের নাম রয়েছে। অভিযোগ, হায়দার নওয়াজ, পাপ্পু খান- সহ অনেকেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। </p>
<p>পুলিশ সূত্রে খবর, দুটো অভিযোগই নেওয়া হয়েছে। মামলা রুজু হয়েছে। ঠিক কী ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখতে একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ দেখছে পুলিশ। এইসব সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পুলিশ। গতকাল এলাকায় দীর্ঘক্ষণ উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর সচিন কুমার সিংহ। তাঁর বিরুদ্ধে কালই অভিযোগ করেন হায়দার নওয়াজ। পাল্টা সচিন কুমার সিংহ অভিযোগ করেন এবং বলেন তাঁকে খুন করার চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছেন। এরপর নারকেলডাঙা থানার সামনে ধর্না দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে এলাকা ছাড়েন কাউন্সিলর। </p>
<p>এর পরে মেয়র যখন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান তারপরেই শুরু হয় সংঘর্ষ। এর আঁচ পাওয়া গিয়েছিল আগেই। মেয়রের উপস্থিতিতেই শাসক দলের কাউন্সিলরের বিরোধীতা করে স্লোগান ওঠে। পাল্টা স্লোগান দেন কাউন্সিলরের অনুগামীরাও। এরপর মেয়র চলে যেতেই চেয়ার ভাঙা, ধাওয়া করা, হাতাহাতি- এসব শুরু হয়। উত্তেজনার পারদ ওঠে চরমে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই নারকেলডাঙা থানায় দু’টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। </p>
<p>শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা নাগাদ আগুন লেগেছিল নারকেলডাঙার খাল পাড় সংলগ্ন বস্তিতে। আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ৩০টিরও বেশি ঝুপড়ি। স্থানীয়দের অভিযোগ দমকলবাহিনী দেরিতে আসাতেই বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁদের এও অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তোলা নিয়ে খাল পাড়ে তৈরি করেছিলেন গুদাম। সেই গুদাম থেকেই আগুন লেগেছে বলে অভিযোগ। ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে। </p>
Source link