NOW READING:
বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই কাটা হল একাধিক গাছ, অভিযোগ হেলেঞ্চা হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে
November 24, 2024

বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই কাটা হল একাধিক গাছ, অভিযোগ হেলেঞ্চা হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই কাটা হল একাধিক গাছ, অভিযোগ হেলেঞ্চা হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে
Listen to this article


সমীরণ পাল, বাগদা: বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই একাধিক গাছ কাটার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা (Bagdah) ব্লকের হেলেঞ্চা হাই স্কুলের (Helencha High school) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় পর স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতির দাবি, কমিউনিটি সেন্টারের জন্য ছোট ছোট কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের জানা গেছে, শনিবার হেলেঞ্চা হাই স্কুলের পিছনে থাকা অনেকগুলি গাছ কাটা হয়। এরপরই স্কুলের প্রাক্তন সভাপতি চন্দন সরকার অভিযোগ করেন, বন দফতরের অনুমতি ছাড়া বেআইনিভাবে গাছ কাটা হয়েছে। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপে বন দফতরের কাছে এই বিষয়ে একটি অভিযোগও করেন তিনি। চন্দন সরকারের দাবি, “বর্তমান পরিচালন সমিতি অন্যায়ভাবে স্কুলের পিছনে থাকা একাধিক গাছ কেটে দিয়েছে। বন দফতর থেকে কোনওরকম অনুমতি নেওয়া হয়নি। স্কুল পরিচালন সমিতি কখনও বলছে ফ্লাড সেন্টার হবে কখনও বলছে কমিউনিটি সেন্টার হবে। আমরা চাই এভাবে গাছ কাটা বন্ধ হোক। সেই সঙ্গে যারা অবৈধভাবে গাছ কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

আরও পড়ুন: Wetland illegal Construction Controversy : অবাধে চলছে জলাভূমি ভরাট, হইচই পড়ে যেতেই ঢাকা হল আর্থমুভার, এবিপি আনন্দ-র ক্যামেরা দেখতে যা হল …

অন্যদিকে স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি বিধান রায় জানিয়েছেন, ওই জায়গাতে একটি কমিউনিটি সেন্টার হবে সেই কারণে কয়েকটি ছোট ছোট গাছ কাটা হয়েছে। তবে গাছ কাটার আগে বন দফতরের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা সে প্রসঙ্গে তিনি কোনও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। উল্টে স্কুল পরিচালন সমিতির প্রাক্তন সভাপতি চন্দন সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, উনি উন্নয়ন দেখলেই বিরোধিতা করেন। 

এদিকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাগদার বিডিও প্রসূন প্রামাণিক জানিয়েছেন, হেলেঞ্চা হাই স্কুলের ওই জায়গাতে একটি কমিউনিটি সেন্টার হবে। এই বিষয়ে জেলা থেকে অনুমোদনও নেওয়া হয়েছে। তাই জায়গাটি পরিষ্কার করার প্রয়োজন ছিল। তবে বন দফতরের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে হেলেঞ্চা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বিষয়টি নিয়ে এলাকা বাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।

আরও দেখুন



Source link