NOW READING:
Bangladesh: মায়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তে ‘স্ক্যাম সেন্টারে’ বন্দি বহু বাংলাদেশি!
February 28, 2025

Bangladesh: মায়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তে ‘স্ক্যাম সেন্টারে’ বন্দি বহু বাংলাদেশি!

Bangladesh: মায়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তে ‘স্ক্যাম সেন্টারে’ বন্দি বহু বাংলাদেশি!
Listen to this article


সেলিম রেজা, ঢাকা: থাইল্যান্ড-মায়ানমার সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বন্দি ২৪ বাংলাদেশি!পরিস্থিতি এমনই যে, মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে অনেকেই। ৩ জনকে অবশ্য বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা গিয়েছে। 

আরও পড়ুন:  Mystery illness: রক্তক্ষরণ, জ্বর আর কয়েক ঘণ্টাতেই মৃত্যু! পৃথিবী কাঁপছে ক্রাইং ডিজ়িজ়ে…

পাহাড়ি এলাকা, রীতিমতো দুর্গম। থাইল্যান্ড-মায়ানমার সীমান্তের ওই এলাকা অপরাধীদের ‘স্বর্গরাজ্য’। দৌরাত্ম্য এতটাই যে, এক ধরনের ‘স্ক্যাম সেন্টার’ গড়ে তুলেছে অপরাধীরা। সেই ‘স্ক্যাম সেন্টারে’ই বন্দিরা বাংলাদেশিরা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জি ২৪ ঘন্টাকে জানিয়েছেন,  থাইল্যান্ড-মায়ানমার সীমান্তে বন্দি   বাংলাদেশি নাগরিক মানবেতর জীবনযাপন করছেন, তাঁরা বেশিরভাগই দুবাই থেকে সেখানে গিয়েছেন। দালালদের প্রলোভনে পড়ে দুবাই থেকে তাঁরা চলে গিয়েছেন থাইল্যান্ড-মায়ানমার সীমান্তে। শেষে প্রতারকের খপ্পরে পড়ে বন্দী হন এবং  স্ক্যাম সেন্টারে কাজ করতে বাধ্য হন।

থাইল্যান্ডের পশ্চিম সীমান্তের একটি শহর ‘মায়ে সত’। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল। মায়ানমার সরকারের কার্যত কোনও নিয়ন্ত্রণই নেই। গোটা অঞ্চলটিই বিদ্রোহী গোষ্ঠী ডেমোক্রেটিক কারেন্ট বুড্ডিস্ট আর্মি-ডিকেবিএ-র দখলে। অনলাইনে প্রতারণা-সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ চলে অবাধে। বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে ওই অঞ্চলেই রয়েছেন ২৪ বাংলাদেশিও। সংখ্যা নিয়ে অবশ্য দ্বিমত রয়েছে। অনেকের মতেই, স্ক্যাম সেন্টার আটক বাংলাদেশির সংখ্যা অনেক বেশি।

জানা গিয়েছে,  বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রতারণা ও জালিয়াতি কারবার চলে ওই অঞ্চলে। গড়ে ওঠেছে বহু স্ক্যাম সেন্টার।  ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনবেচা, অনলাইনে জুয়া, , ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক, সেক্স ভিডিও তৈরি, বাদ নেই কিছুই। প্রথমে বেশি বেতনের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে লোকজনকে নিয়ে যাওয়া হয় স্ক্যাম সেন্টারে। শেষে দালালদের হাতে বন্দি হয়ে যান বেশিরভাগই।  সহজেই বেরোতে পারেন না। কারণ ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে ডিকেবিএ। অনলাইনে স্ক্যাম সেন্টার থেকে অর্থ আদায় করা ডিকেএবির অন্যতম আয়ের উৎস। ফলে দিনের পর দিন বন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হন অনেকে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জি ২৪ ঘন্টার বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, মূলত দুবাই থেকে দালালদের প্রলোভনে থাইল্যান্ড-মায়ানমার সীমান্তে যান বাংলাদেশিরা। থাইল্যান্ডের ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে সে দেশে প্রবেশ করেন তাঁরা। পরে মায়েসত শহরে গিয়ে অনেকেই বন্দী হয়ে পড়েন। তবে সীমান্তবর্তী শহর হওয়ায় থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যেই তিনজন বাংলাদেশি নাগরিককে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান,  মায়েসত শহরে প্রায়ই থাইল্যান্ডের নিরাপত্তারক্ষীরা অভিযান চালিয়ে থাকে। তবে অভিযানের সময় প্রতারক চক্রের মূল হোতারা সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমার চলে যায়। আর মায়ানমার গিয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ডিকেবিএর কাছে আশ্রয় নেয়। ফলে থাইল্যান্ড সরকার চাইলেও এসব স্ক্যাম সেন্টার সহজেই বন্ধ করতে পারে না। তারপরও তারা বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে থাকে। গত সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে দুজন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে থাইল্যান্ডের নিরাপত্তারক্ষীরা। দুই সপ্তাহ আগে আরও একজন বাংলাদেশি সীমান্তে মিয়ানমারের অংশ থেকে উদ্ধার হয়েছেন।

আরও পড়ুন: Deadliest Train Accident: বিশ্বের ভয়ংকরতম রেলদুর্ঘটনা? গোটা ট্রেন ভেসে গেল দৈত্যাকার ঢেউয়ের স্রোতে, শয়ে-শয়ে মৃত্যু…

Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link