জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লক্ষ্য অলিম্পিক গেমস ২০৩৬ আয়োজন। এবার প্রতিযোগিতার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করল ক্রীড়া মন্ত্রক। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কথা মাথায় রেখেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা পরিচালনার জন্য ক্রীড়া মন্ত্রক থেকে জাতীয় ফেডারেশনগুলির জন্য বরাদ্দ তহবিল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এর পাশাপাশি এও বলা হয়েছে যে, প্রতিষ্ঠানগুলিতে অতি অবশ্যই হাই-পারফরম্যান্স পরিচালক ও কর্মকর্তাদের নিযুক্ত করতে হবে।
তহবিলের সংশোধিত নিয়ম অনুসারে, উচ্চ অগ্রাধিকারমূলক ক্রীড়া বিভাগুলির উন্নয়নের লক্ষ্যে, মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য বরাদ্দ ৫১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০ লক্ষ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা প্রায় ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি। ভারতে আরও বেশি করে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত করতে, আর্থিক সহায়তা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে দুই কোটি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কী ভালোই ওর…’ আইপিএল মাতানো কিশোরে পুরোই অস্থির পুণম পাণ্ডে! ওখানেই আটকেছে চোখ
ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডভিয়া বলেন যে, ২০৩৬ সালের অলিম্পিক গেমসের আয়োজক হিসেবে ভারতের পরিকাঠামো আরও শক্তিশলী করে তুলতে হবে। তাই এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। যা প্রতিযোগীদের অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ, উন্নত পরিকাঠামো ও সরঞ্জাম প্রদানে সক্ষম হবে।
উচ্চ অগ্রাধিকার বিভাগে অ্যাথলেটিক্স, ব্যাডমিন্টন, শুটিং, হকি, টেনিস, ভারোত্তোলন, কুস্তি, তীরন্দাজ এবং বক্সিং সুবিধাভোগী হবে। এবং অগ্রাধিকার বিভাগের জন্য মোট ৭৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
অত্যাধুনিক ও উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি খেলোয়াড়দের এগোনোর পথে একটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে, সম্ভাবনাশীল খেলোয়াড়দের জন্য এই পদক্ষেপ যথেষ্ঠ গুরুত্বপুর্ণ।
আরও পড়ুন: শেষে দেশ ছাড়ছেন বিরাট! তাও আবার ৭৫০০ কিমি দূরে পাড়ি, আবেগের বশেই তাহলে সন্ন্যাস?
এই বছরের শেষের দিকে ওড়িশায় হকির এশিয়া কাপ এবং দিল্লিতে জুনিয়র শ্যুটিং বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। এই মর্মে একগুচ্ছ উদ্দ্যোগ ভারতীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের। প্রধান জাতীয় কোচদের বেতন ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ লক্ষ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং অন্যান্য কোচরাও মাসিক তিন লক্ষ টাকা পাবেন, যা আগে দুই লক্ষ টাকা ছিল। এছাড়াও উচ্চ অগ্রাধিকার এবং অগ্রাধিকার বিভাগের এনএসএফগুলিকে সিনিয়র এবং জুনিয়র উভয় বিভাগেই সম্ভাব্য শীর্ষ প্রতিভাদের দল চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
এই খেলোয়াড়দের স্বীকৃত একাডেমিগুলিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যা ন্যায্য ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এনএসএফ দ্বারা নির্বাচিত হবে। এই একাডেমিগুলিতে একটি নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট খেলার হাই পারফরম্যান্স ডিরেক্টর দ্বারা তদারকি করা হবে। জাতীয় শিবির না চলাকালীন খেলোয়াড়দের চাহিদা মেটাতে মাসিক ১০,০০০ টাকা খাদ্য ভাতা দেওয়া হবে।
তবে, মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে যে এনএসএফগুলি প্রায়শই বিশৃঙ্খল পদ্ধতিতে কাজ করেছে তার কারণে হস্তক্ষেপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)