জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: নবি মুম্বইয়ের উলওয়ের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল ৪৩ বছরের এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ। ওই দেহ হয়তো আরও পরে উদ্ধার হত যদি না অন্য একটি সূত্রে ওই খুনের খবর নবি মুম্বই পুলিসের কাছে আসত। ওই খুনের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ১৯ বছরের এক তরুণী ও ২১ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তদের দুজনকে জেরা করা হচ্ছে।
নিহত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় আশারাম(৪৩)। পেশায় গাড়িচালক সঞ্জয়ের বাড়ি উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে। উলওয়ের সেক্টর ২৪ এর একটি বহুবতলের ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন আশারাম। টানা ৩ দিন তার মৃতদেহ ম্যাট্রেসের মধ্যে মুড়ে করে ফ্ল্যাটের মধ্যেই লুকিয়ে রেখেছিল অভিযুক্ত তরুণ-তরুণী।
যে দুই জনকে পুলিস গ্রেফতার করেছে তাদের একজনের নাম রিয়া দীনেশ (১৯) এবং অন্যজন সঞ্জয় সিন্ডে(২১)। রিয়ার বাড়ি পঞ্জাবে। কাজের সন্ধানে সে মুম্বই এসেছিল। অন্যদিকে, সঞ্জয় শিন্ডের বাড়ি সঙ্গামনের জেলায়। মাসখানেক আগেই রিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় সঞ্জয় আশারামের। রিয়ার কোনও থাকার জায়গা ছিল না। অনেকে অনুরোধের পর রিয়াকে তার ফ্ল্যাটে থাকতে দেয় আশারাম।
আরও পড়ুন-বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ, জেলায় জেলায় শিলাবৃষ্টি, প্রবল ঝড়ের পূর্বাভাস
পুলিস সূত্রে খবর, বেশিরভাগ সময়টাই, এমনকি রাতেও ফ্ল্যটে থাকতো আশারাম। তাই কোনওরকমে চলে যাচ্ছিল। সমস্যা শুরু হয় যখন রিয়া তার বয়ফ্রেন্ড দীনেশকে ফ্ল্যাটে থাকার জন্য ডেকে আনে। অনেক বাকবিতন্ডার পর তিনজন একসঙ্গে থাকতে শুরু করে। কিন্তু সমস্যা হয় যখন সঞ্জয়ের এক কাণ্ডে। ওই তরুণ-তরুণীর অভিযোগ তাদের ঘনিষ্ট অবস্থায় ভিডিয়ো তুলে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে সঞ্জয়। সঞ্জয় রিয়ার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার প্রস্তাব দেয়।
আরও পড়ুন-অতিরিক্ত শূন্যপদ সৃষ্টি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি রাজ্যের
গত ২ এপ্রিল তাদের তিনজনের মধ্যে প্রবল ঝাগড়াঝাটি শুরু হয়ে যায় এনিয়ে। এর মধ্যেই ওই তরুণ-তরুণী একটি হাতুড়ি দিয়ে সঞ্জয়ের মাথায় আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্য়ু হয় সঞ্জয়ের। এরপরই সঞ্জয়ের মৃতদেহ একটি ম্যাট্রেসে জড়িয়ে রেখে দেয় রিয়া ও দীনেশ। তারপর তারা সঞ্জয়ের গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। পুণে যাওয়ার পথে তাদের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যায়। বিপদ বুঝে তারা গাড়ি ফেলে দীনেশের বাড়ি সঙ্গামনে চলে যায়।
এদিকে সঞ্জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে উলওয়ে চলে আসে সঞ্জয়ের ভাই। দাদার কোনও পাত্তা না পেয়ে সে পুলিসে একটি নিখোঁজ ডাইরি করে। অন্যদিকে, দীনেশ ও রিয়া দীনেশের বাড়িতে গিয়ে তাদের দোষের কথা বাড়ির লোকের কাছে কবুল করে। বাড়ির লোকজন তাদের পুলিসে আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দেয়। তারা পুলিসে গেলেই গোটা ঘটনা সামনে চলে আসে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)