NOW READING:
দেবাংশুর উল্টো সুর সৌগতর, ‘মমতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ নিয়ে আহত, আমি মনে করি না এই নিয়ে..’
March 31, 2025

দেবাংশুর উল্টো সুর সৌগতর, ‘মমতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ নিয়ে আহত, আমি মনে করি না এই নিয়ে..’

দেবাংশুর উল্টো সুর সৌগতর, ‘মমতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ নিয়ে আহত, আমি মনে করি না এই নিয়ে..’
Listen to this article


কলকাতা : দেবাংশুর উল্টো সুর সৌগত রায়ের। মূলত এদিন   কেলগ-কাণ্ডে তৃণমূলের IT সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্যর তোপের মুখে দলের একাংশ।  তিনি এদিন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই আপনাদের লোকে চিনেছে। বড় পদ পেয়েছেন। তাহলে দলনেত্রীর অসম্মানে মুখে কুলুপ এঁটেছেন কেন? ‘ বড় প্রশ্ন দেবাংশুর। এর পরেই সৌগত রায় বলেন, ‘আমি মনে করি না এই নিয়ে হইচই করে নামা উচিত।’

‘মমতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ নিয়ে আহত, আগেও বিবৃতি দিয়েছি। এতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ক্ষতি হবে না। ১০ জন এসএফআই, ৫ জন বিজেপি অক্সফোর্ডের ফাঁকা মাঠে স্লোগান দিয়েছে। আমি মনে করি না এই নিয়ে হইচই করে নামা উচিত’, দেবাংশুর উল্টো সুর সৌগত রায়ের। ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই চান না, নির্দেশ দিলে একদিনের নোটিসে বিক্ষোভ হত। ১০টি ছেলে কী করেছে তার কোনও গুরুত্ব নেই’, প্রতিক্রিয়া তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের।

দেবাংশু এদিন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই আপনাদের লোকে চিনেছে। বড় পদ পেয়েছেন। তাহলে দলনেত্রীর অসম্মানে মুখে কুলুপ এঁটেছেন কেন? যুদ্ধের সময় চুুপ থাকবেন? লড়াইয়ের সময় পড়ে ঘুমোবেন? মঞ্চে উঠে সম্বর্ধনা নেন, পদের দাবিতে গলা ফাটান, আর এই সময় মৌনব্রত? সব কি দল বলে দেবে? নিজে থেকে একটা প্রতিবাদ মিছিলও বের করতে পারেন না? দলনেত্রীকে অসম্মান করলে গায়ে জ্বালা ধরে না? তখনও নির্দেশ আসার অপেক্ষা করতে হয়?’ বড় প্রশ্ন দেবাংশুর।সোশাল মিডিয়ায় দেবাংশু লেখেন, ‘পার্টি অফিসগুলোতে শতশত চামচাদের নিয়ে বসে থাকেন, যাদেরকে দিয়ে সেলফি কিম্বা আপনার ড্রেন উদ্বোধনের ছবি পোষ্ট করান, এসব ইস্যুতে তাদের দিয়ে একটা করে পোষ্ট তো করাতে পারেন অন্তত! পারেন না? গা বাঁচিয়েই যদি চলবেন তবে পঞ্চায়েতে, পুরসভায়, বিধানসভায়, লোকসভায় দাঁড়িয়েছিলেন কেন?’

গতকাল বাম-বিজেপির একের পর এক নিশানার পর মমতা সোশ্যাল পোস্টে লেখেন নানা কথা। ‘ছোটবেলায় বাবাকে হারানো’ থেকে জীবনের প্রতিটা পদে যুদ্ধ করে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। বলেন, ‘ছোট থেকেই লড়াই, সংগ্রামকে আমি কখনও ভয় পাই না। কিন্তু বাংলার কৃতিত্বকে কেউ খাটো করার চেষ্টা করলে বরদাস্ত নয়।’প্রসঙ্গত অক্সফোর্ডের কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার মাঝে ছন্দপতন ঘটেছিল। পশ্চিমবঙ্গের শিল্পায়ন নিয়ে বলতে গেলে, মুখ্যমন্ত্রীকে একের পর এক প্রশ্ন তুলছিল SFI সমর্থকরা। পাল্টা, আর জি করে ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ থেকে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য়মন্ত্রীর সফরসঙ্গী কুণাল ঘোষ সোশাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, অক্সফোর্ডে ছ’টা বাম-রামের পরিকল্পিত অসভ্যতা উড়িয়ে ছক্কা হাঁকালেন মমতা।

আরও পড়ুন, ‘পূর্বস্থলীতে বিজেপির ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা..’ ! গুরুতর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

আরও দেখুন



Source link