রাজীব চক্রবর্তী: নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে ওয়াক আউট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। “আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি। আমার বলার সময় থামিয়ে দেওয়া হয়। আমি বলতে শুরু করার ৫ মিনিটের মধ্যে আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটা অপমানজনক।” নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে বেরিয়ে তীব্র তোপ দাগলেন মুখ্য়মন্ত্রী। স্পষ্ট জানালেন, ‘বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেছি।’
মমতা অভিযোগ করলেন, “এনডিএ শরিকদের বলতে বেশি সময় দেওয়া হয়। চন্দ্রবাবু নাইডুকে ২০ মিনিট বলতে দেওয়া হয়। অথচ আমি বঞ্চনার কথা বলতেই থামিয়ে দেওয়া হয়। বলতে শুরু করার ৫ মিনিট পরই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটা অপমানজনক। আমি চললাম। প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি বৈষম্য করা উচিত নয়।” মমতা আরও জানান, “রাজ্যগুলির স্বার্থে আমি এসেছিলাম। একা। বিরোধীদের কেউ আসেনি। সব বিরোধীদলের হয়ে কথা বলেছি।” এদিন নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের নবম বৈঠকে যোগ দেয়নি কংগ্রেস, আপ, ডিএমকে।
বাংলার বকেয়া ১ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকা আদায়ের দাবিতেই এদিন নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেন মমতা। কিন্তু বৈঠকে বঞ্চনার কথা বলতেই তাঁকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার। সেইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, কেন এনডিএ শরিকদের বেশি সময় দেওয়া হবে? মমতা নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করতেই, আজ যা হয়েছে তা নিয়ে তীব্র তোপ দেগেছে ক্ষুব্ধ তৃণমূল। কেন্দ্র বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। এই অভিযোগে সংসদের ভিতরে ও বাইরে সোমবার থেকে সোচ্চার হবে তৃণমূল। বিধানসভা অধিবেশনেও প্রসঙ্গ আসতে পারে বলে খবর।
এদিন নীতি আয়োগের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি শাসিত সবকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পাটেল। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরার্ড সাংমা। অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। পুরুচেরির মুখ্যমন্ত্রী এন রঙ্গস্বামী। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত।
তবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার উপস্থিত ছিলেন বলেই খবর। ওদিকে মমতা ছাড়া বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের দলগুলির কোনও মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে যোগ দেননি। নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করেন তাঁরা। এই নিয়ে অবশ্য গতকালই দিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে চা-চক্রে মমতা বলেন, ‘দুদিন ধরে দেখছি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে যাবেন না। এই বিষয়ে আগে থেকে জোটের মধ্যে সমন্বয় বৈঠক হলে ভালো হত। কিন্তু প্রত্যেকটা রাজ্যের আলাদা অ্যাজেন্ডা আছে। আমি যাব।” যদিও কালই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘বলতে দিলে ভালো, না হলে বেরিয়ে আসব।’
আরও পড়ুন, Defamation Case: রাজ্যপাল সম্পর্কে যে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী: হাইকোর্ট
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)