জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন প্রখ্যাত কবি, গীতিকার, সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় (Pratul Mukhopadhyay)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। তাঁর মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, তিনি শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন। সম্প্রতি তাঁর নামে কলকাতার একটি রাস্তার নামকরণের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ল্যান্সডাউন স্ট্রিটের নাম সরকারিভাবে প্রতুল মুখোপাধ্যায় সরণি” হিসেবে ঘোষণা করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন চিকিৎসকদের সম্মেলনে গিয়ে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর শেষ স্মৃতি ভাগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- Mehazabien Chowdhury Wedding: প্রথম দেখাতেই প্রেম, ১৩ বছর পর অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে মেহজাবীন…
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতুলদা ও প্রতুলদা, আমি মমতা’। বিশ্বাস করুন যে লোকটা দু’দিন সাড়া দেয়নি। আমার ডাক শুনে চোখ খুললেন। চোখ দুটো জলে ভরে গেল। তখন চিকিৎসকরা বললেন ওঁর স্ট্রেস হচ্ছে। ওই যে তিনি সাড়া দিলেন, ফলে ওঁর হৃদয়ে একটা ব্যাথা হচ্ছে। চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে এসেছে। তখন আমি বললাম, ‘প্রতুলদা আপনাকে আবার বাংলায় গান গাই গাইতে হবে। আপনি চলে গেলে কে গাইবে?’ বিশ্বাস করুন দুটো হাত তুলে, জানি না তিনি আশীর্বাদ করলেন কি না, ইশারায় বললেন আর গাইতে পারবেন না। তখনই আমি বুঝে গিয়েছিলাম প্রতুলদা হয়তো আর কষ্ট সহ্য করতে পারছেন না। তিনি দুরারোগ্য আক্রান্ত ব্যধিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন শেষের দিকে। অস্ত্রোপোচার ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। এর আগেও তিন-চারবার ওঁকে সুস্থ করে আনা হয়েছিল।’
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News
এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্মৃতিচারণার মাঝে আরও বলেন,’এই একটি ছোট্ট ঘটনা আমার মনে রেখাপাত করে গিয়েছে। যদিও আমি এটা নিয়ে কোনও গবেষণা করিনি। ব্যাখ্যা দেওয়ার মতো কোনও জায়গা আমার নেই। ‘মরণের পাড়ে’ নামে একটি বই পড়ে বলছি। অনেক সময় বলে না যে মানুষ মারা গেলেও তাঁর মধ্যে একটা বোধ থাকে। তাঁর কাছের মানুষ জন আত্মীয়রা যখন কাঁদেন, তখন তিনি না কাঁদার জন্য বলেন। এটা একটা গবেষণার ব্যাপার, আমার বলার কিছু নেই। আমি বলছি এটা মানবিকতার দিক থেকে।’
আরও পড়ুন- Udit Narayan: ডিভোর্স ছাড়াই ফের বিয়ে, খোরপোশেও অনীহা! ‘চুমু’ উদিতের বিরুদ্ধে মামলা প্রথম স্ত্রীর…
প্রসঙ্গত, জানুয়ারী মাসের শুরুতে প্রতুল মুখোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সে সময় তাঁর নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। স্নায়ু ও নাক-কান-গলার (ইএনটি) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। তারই মধ্যে ১৫ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে দেখতে গিয়েছিলেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ডিঙ্গা ভাসিয়ে লাল টুকটুকে দিন আনতে চিরতরে পাড়ি দিলেন ‘গানওলা’ প্রতুল।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)