# Tags
#Blog

‘আমি এক পয়সাও নিই না, অন্য কেউ নিলে কেন ছাড় পাবে’? দুর্নীতিতে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মমতা

‘আমি এক পয়সাও নিই না, অন্য কেউ নিলে কেন ছাড় পাবে’? দুর্নীতিতে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মমতা
Listen to this article


কলকাতা: নিত্যদিনের শাক-সবজির দামও আকাশছোঁয়া। ফড়েদের রাজত্ব রুখতে বাজারে হানা দিচ্ছে রাজ্যের টাস্ক ফোর্সও। তার পরও সাধারণ মানুষ মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। সেই নিয়ে এবার কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের একাংশকেও কাঠগড়ায় তুললেন তিনি। জানালেন, পুলিশ-প্রশাসনের একাংশও টাকা খাচ্ছে, যার দায় তৃণমূল নেতাদের ঘাড়ে পড়ছে। (Mamata Banerjee)

বৃহস্পতিবার নবান্নের সভাঘরে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বেচারাম মান্নাদের নিয়ে বৈঠক করেন মমতা। সরাসরি সেই বৈঠক সম্প্রচারিত হয়। আর সেখানেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা। তাঁর সাফ বার্তা, “আমি একটা পয়সাও নিই না। তাহলে অন্য কেউ নিলে কেন ছাড় পাবে?” (Kolkata News)

আলু-পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে এর আগে ব্যবসায়ীদের কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। রাজ্যের চাহিদা মিটিয়ে তবেই যেন বাইরে আলু পাঠানো হয়, জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরও আলুর মূল্যবৃদ্ধি রোখা যায়নি। এদিন মমতা অভিযোগ করেন, রাজ্যে আলু-পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে বাইরে পাঠানো হচ্ছে। নিজের রাজ্যের লোকজন আলু-পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন, অথচ বাইরের রাজ্যে আলু পাঠিয়ে মুনাফা করছেন ব্যবসায়ীরা। 

এদিন মমতা বলেন, “বাংলা শস্য-শ্যামলা রাজ্য। আমরা আলু, ধান চাষ করি। আমরা অনেক দাম দিয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে বীজ কিনে আনি। আর সেই আলু বাইরে চলে যাচ্ছে! বলেছিলাম, আমাদের প্রয়োজন মিটিয়ে, তবেই বাইরে আলু পাঠানো যাবে। নতুন আলু না ওঠা পর্যন্ত বাইরে যাবে না বলেছিলাম, এখন দেখছি রফতানি পর্যন্ত করছে। কেন জানানো হল না আমাকে? নিজের রাজ্যে দাম বাড়াবেন আপনারা, আর আমি কৃষকদের বিমা করে দেব, দু’টো একসঙ্গে চলতে পারে না। স্টক দেখাতে হবে আমাকে। ” এদিন কৃষি এবং কৃষিজাত পণ্যের মার্কেটিং বিভাগের দায়িত্বেও রদবদল করেন মমতা। বেচারাম মান্নাকে কৃষিজাত পণ্য মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান করেন। গোটা পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালানোর পাশাপাশি, সময়ে সময়ে তাঁকে রিপোর্ট দেওয়ার কথাও বলেন মমতা। 

আর এর পরই পুলিশের ভূমিকায় সরব হন মমতা। ডিজি-র উদ্দেশে বলেন, “কিছু বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ কর। তুমি হয়ত চেষ্টা করছো, কিন্তু লোকাল পুলিশ করছে না। রাজীনীতিকদের বেশি বদনাম হয়। ৫ টাকা খেলে ৫০০ বলা হয়, চোর বলা হয়। রাজনীতিকরা কিন্তু টাকা খাওয়ার আগে দশ বার ভাবেন, তাঁদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু কিছু নীচু স্তরের অফিসার, কর্মী, যাঁরা এই সরকারকে ভালবাসেন না, তোমার পুলিশের কিছু লোকও টাকা খাচ্ছে। বালিচুরি থেকে কয়লা চুরি, সিমেন্ট চুরি…বলেছিলাম বালি, পাথর খাদানের টেন্ডার করতে। পাথর ভেঙে বিক্রি করতে বলেছিলাম। কেন করছে না ভূমি দফতর? বেআইনি খনি আটকাও।”

মমতাকে আজ বলতে শোনা যায়, “সিআইএসএফ টাকা খেলেও, আমাদের ধরার অধিকার আছে। কারণ চুরি হলে বলবে তৃণমূল করছে। চুরি করে সিআইএসএফ, পুলিশের একাংশ। এটা আমি সহ্য করব না। কোনও রাজনৈতিক দলের লোক টাকা খেলেও কলার চেপে ধরো। আইনের প্যাঁচে ধরো, জেলে পাওঠাও। আমার এক পয়সাও দরকার নেই। বার বার বলি, দলের নির্বাচনের জন্য দরকারে লোকের সামনে আঁচল পেতে টাকা নেব। বলতে পারবে না, আজ পর্যন্ত সরকারি কাজে বা কারও থেকে এক পয়সাও কোনও কারণে নিয়েছি। তাহলে অন্য কেউ নিলে কেন ছাড়বে? সকলের জন্য একই আইন, সমান ভাবে প্রযোজ্য।”

মমতা জানান, কারও ক্ষেত্রে কোনও ছাড় চলবে না। যদি কেউই ভেবে থাকেন, কাউকে ম্যানেজ করবেন, তোলাবাজি চালাবেন, তাঁদের কেউ বাঁচাবেন না। তিনি তো বাঁচাবেনই না। কোথাও না কোথাও থেকে তাঁর কাছে খবর পৌঁছবেই। 

আরও দেখুন



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal